‘অস্বাভাবিক’ ও ‘কঠিন’ প্রশ্ন বলে লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাডভোকেটশিপ এনরোলমেন্টের দাবিতে আন্দোলন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের শিক্ষার্থীদের একাংশ।
‘আমরা সকাল ৯টায় পরীক্ষা দিতে আসি। এক ঘণ্টা পর কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে শুরু করে। তারা পরীক্ষার হল থেকে আমাদের বের হয়ে যেতে বলে।’
জানা যায়, সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে না চেয়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের হয়ে কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে বিক্ষোভ করে। হাতে পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়ার পর, তারা একে ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘কঠিন’ প্রশ্ন বলে পরীক্ষা দিতে চায়নি এবং অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাঁধা দেয়। তারা পরীক্ষার্থীদের খাতা টেনে ছিঁড়ে ফেলে। কেন্দ্রের শিক্ষকদের ও পরীক্ষা পরিদর্শকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
‘আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েও, পরীক্ষা দিতে পারিনি। আমরা আবার পরীক্ষার দাবি করছি,’ দাবি করে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা সকাল ৯টায় পরীক্ষা দিতে আসি। এক ঘণ্টা পর কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে শুরু করে। তারা পরীক্ষার হল থেকে আমাদের বের হয়ে যেতে বলে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরীক্ষার্থী বলেন, ‘বার কাউন্সিল যে প্রশ্ন করেছে তা কোন প্রশ্নের মাপকাঠিতেই পড়ে না। এটা কোনো প্রশ্নই হয়নি। জুডিশিয়ারির পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন হতেই পারে না। এ কারণে আমরা পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে গেছি। কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে চাইলেও তাদেরকে বাকিরা ধরে বের করে দিয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা হলের বাইরে অবস্থান করছে।’
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক নিউটন মৃধা জানান, সকালে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে পরীক্ষার্থীদের একাংশ কেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে।
আর, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে থাকা কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে খাতা ছিঁড়ে ফেলে এবং অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাঁধা দেয়। তাদের খাতা কেড়ে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।