সবজির চাষ করে বাজারে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।বর্তমানে বাজারে মুলার কেজি ২ টাকা, ফুলকপি ৫ টাকা ও পাতা কপি ৩-৪ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদিত সবজি এখন পানির দামে বিক্রি করছে কৃষকরা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সৈয়দপুরের সবজি চাষি আতিকুল ইসলাম জানান, দেশের অন্য জেলায় সবজির চাহিদা না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা কম দামে তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদিত ফসলের খরচের অর্ধেকও উঠে আসবে না বলে জানান তারা।
পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপি ৫ টাকা, বেগুন ৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, মুলা বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা।
ওই পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের সবজি এবার আমরা পানির দরে বিক্রি করছি। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষক তো আরো কম দামে আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। এবারে সবজি চাষে কৃষক লোকসান ছাড়া লাভের মুখ কেউ দেখতে পাবে না। তবে আলুর দাম বেশ চড়া। পুরাতন আলু বাজারে নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বার বার বৃষ্টির কারণে নতুন আলুর উৎপাদন কম। তাই এখনও নতুন আলু ৬০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।