চাঁদা না দেয়ায় রাতের আঁধারে এক সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা চালিয়ে নির্মিত বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট করে ভাড়াটিয়া একদল সন্ত্রাসী। উপরন্তু সন্ত্রাসীরা তাদের হুমকি দিয়ে বলে ‘বাঁচতে চাইলে ভারতে চলে যা, দেশে থাকলে নিশ্চিত মৃত্যু’, কেউ তোদের বাঁচাতে পারবে না।
গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের শিধোর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। রাতে খাদেমুল ইসলামের বাহিনী সেখানে হাজির হয়ে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় সুশেন বাপ-দাদার পৈত্রিক ভিটায় ঘর তুলতে কোন প্রকার চাঁদা দিবে না বলে ঘোষণা দিলে সন্ত্রাসীরা নির্মানাধীন ঘরগুলো লাঠি-সোটা, বল্লম, শাবল, লোহার হাম্বার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পরে উপায় না পেয়ে গোপনে ৯৯৯-এ কল দিলে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ সেখানে হাজির হয়। এ সময় পুলিশ দেখে হুমকি দিতে দিতে পালিয়ে যায় খাদেমুল বাহিনীর দল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাদেমুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক সুজন ঘোষ বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও নির্যাতনের ঘটনায় আমি হতাশ। কেননা যারা এই হামলা চালিয়েছে তারাও আ’লীগ আর যারা হামলার শিকার তারা বংশগতভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দাসহ দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় খাদেমুলকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়েরসহ জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিররা।
ভানোর ইউনিয়নে হিন্দু পরিবারের বাড়ী-ঘর ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান জানান, প্রতিদিনই মারামারির ঘটনা ঘটছে। মামলা হয়েছে কি না বলতে পারবো না, দেখতে হবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।