শীতের পিঠা বাঙালীর সংস্কৃতির একটা বড়ো অংশ হিসেবে চলে আসছিলো আবহমানকাল ধরে। নবান্নে নতুন ধান ঘরে আসতেই গৃহিনীদের পা পড়তো ঢেঁকিতে, চালের গুড়ি আর খেজুর রসের সখ্যতায় বাঙালীর পাতে উঠতো বাহারী রঙের পিঠা-পুলি। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাঙালীর পিঠা-পুলিতে বিদেশী সংস্কৃতির ফাস্টফুড আর জাঙ্কফুড এসে স্থানটা দখল করে নিচ্ছে।
কালের বিবর্তনে বাঙালীর পিঠা-পুলিতে বিদেশী সংস্কৃতির ফাস্টফুড আর জাঙ্কফুড এসে স্থানটা দখল করে নিচ্ছে।
আমাদের নতুন প্রজন্ম তাই অপরিচিত এখন বাঙালীর পিঠা-পুলির সঙ্গে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের পিঠা-পুলির পরিচয় টুকু যেনো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে না যায়। তাই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গতকাল হয়ে গেলো দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। উপজেলার বাশবাড়ীয়াস্থ আহম্মদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত এই পিঠা উৎসবে এলাকার ২৮ জন গৃহীনি পিঠা উৎসবে অংশ নেন। নানান রঙের পিঠা নিয়ে হাজির হওয়া গৃহিনীদের মধ্য থেকে এই উৎসব শেষে তিনজন সেরা গৃহিনীকে নির্বাচিত করেছেন বিচারকরা। এতে প্রথম স্থান অধিকারি হয়েছন তনু আক্তার, ২য় হয়েছেন মৌসুমি আক্তার, এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছেন সেলিনা বেগম।