জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির মধ্যে দীর্ঘসূত্রিতা চলছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির দল থেকে সাময়িকভাবে বাদ পড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও বর্তমান সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠের মধ্যে।
এ রেষারেষির জেরেই দু’জনই চট্টগ্রামে পৃথক পৃথক জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে। এতে আলোচনা সভা ও র্য্যালির আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টির তৃণমূলের ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে স্ব-স্ব বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনায় তপন চক্রবর্তী সোলায়মান শেঠকে উদ্দেশ্য করে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন,”তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দল তৃণমূল নেতাদের মতো শ্রম দেয়নি…তাকে দল থেকে অপসারণ করা না হলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো নেতা-কর্মীকে চট্টগ্রামে আসতে দিব না”।
সোলায়মান শেঠকে উদ্দেশ্য করে তপন চক্রবর্তীর আগাম হুশিয়ারী
তার এ ধরনের ক্ষোভের প্রধান কারণ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উপর। তিনি মনে করেন, কেন্দ্রীয় কমিটি এমন একজনকে (সোলায়মান আলম শেঠকে) সভাপতি নির্বাচন করেছেন যিনি ‘রাজনীতি বুঝে না’।
এ বক্তব্যের পরক্ষণেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার সানজীদ রশিদ চৌধুরী জানান,”নতুন জামাইকে চিমটি দিলে আ-ও করতে পারে না, আবার কুতুকুতু দিলে হাসতেও পারে না। আমার অবস্থাটাও নতুন জামাইয়ের মতো।”
তিনি ‘রাজনীতি একটা নেশা, মাদকের চেয়েও জঘন্য’ বলে বিবৃতি দেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি দল ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়ে দেন, “আম্মু যদি মারা যায়, আমি জাতীয় পার্টিতে থাকব কিনা সন্দেহ”।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতার দাবি, “চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না”।
পরিশেষে, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আগত নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা-সমঝোতার মধ্য অনুষ্ঠানের ইতি ঘটে।