চট্টগ্রাম নগরীর বিশেষ বিশেষ অলিগলিতে ছেয়ে যাচ্ছে নারীর দেহ সংগমের ব্যবসা। নগরীর লাভলেইন, রেলওয়ে ষ্টেশন, নন্দনকানন কাটাপাহাড়, বটতলি, কদমতলী, মুরাদপুর, বহাদ্দারহাটসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো গণিকাবৃত্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে।
সখের তাড়নায় নয় বরং পেটের তাড়নায় এ পেশায় জড়িত হয়ে পড়েছেন বলে একাধিক গণিকা সংবাদ জগতকে জানান।
অনেক ক্ষেত্রে পতিতাদের কেউ কেউ রাতের কাস্টমারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় টাকা-পয়সা ও মোবাইল ডিভাইস । উপরন্তু তাদেরকে মারধরও পর্যন্ত করে। গতকাল লাভলেইন সড়কে এমনই এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
কোমল নারী ও শিশুদের যৌন বৃত্তিতে পাচারের পিছনে রয়েছে অধরা গডফাদার। তা না হলে, যেখানে আমাদের দেশের সংবিধানের ১৮(২) নং অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে, ‘রাষ্ট্র জুয়া এবং যৌন ব্যবসার বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা প্রদান করিবে।’, সেখানে এ ধরনের অপকর্মকান্ড কি করে চলছে।
অপরদিকে বাংলাদেশে বিদ্যমান ২০১২ সালের করা ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১২(১) ধারায় সরাসরি বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি পতিতালয় স্থাপন বা পরিচালনা করিলে অথবা তাহা স্থাপন বা পরিচালনা করিতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা বা অংশগ্রহণ করিলে, তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বছর এবং অনূন্য ৩ (তিন) বছর সশ্রম কারাদন্ডে এবং ইহার অনূন্য ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।‘
উল্লেখিত আইনদ্বয় অমান্য করে যে বা যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে তাদেরকে শীঘ্রই বিচারের আওতায় আনা জরুরি। বিবেচনা করুন…