গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন থেকে জানা গেছে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং এলাকায় যাত্রীবাহী মিনিবাস চাপায় সিএনজির যাত্রী একই পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বাস চালক বেলাল উদ্দিনকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার মৃত শহর মল্লুকের ছেলে সালামত উল্লাহ (৬০), তার ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮) এবং কামরুল ইসলামের কন্যা শিশু মরিয়ম(১)।আহতরা হলেন, দেলোয়ার, রোকেয়া, নুর নাহার, মোহানা এবং নুর মোস্তাফা সাকিব। তারা সবাই নিহত ছালামত উল্লাহ পরিবারের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী আবুল মন্জুর বলেন, সকাল ১০টার দিকে টেকনাফগামী পালকি মিনিবাস (কক্সবাজার-জ-১১-২৩৮) এবং কক্সবাজারমুখী সিএনজির (কক্সবাজার-থ-১১-৮৭৪৬) সংঘর্ষ হয়। বেপরোয়া গতির মিনিবাসের চাপায় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আমি ও স্থানীয়রা মিলে দ্রুত গাড়ির ভেতর থেকে আহতদের উদ্ধার করি। কিন্তু ঘটনাস্থলে মারা যান নজরুল। বাকিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালামত উল্লাহ ও শিশুটি মারা যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, সড়কদুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুলের মরদেহ উদ্ধার করি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাস চালককে আটক করা হয়েছে। গাড়ি দু’টি আমাদের হেফাজতে রয়েছে।প্রথমে চারজন মারা যাওয়ার কথা প্রচার পেলেও তিনজনের মরদেহই মিলেছে। তবে, বাকী আহতদের মাঝে আরও কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন ।