জানা গেছে, গত ৯ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নে অভিযান চলে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে চট্টগ্রামে অবৈধ সকল ইটভাটা ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান জানান, ‘এই মুহূর্তে আমরা সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে থ্রি স্টার নামে একটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঐদিন পুরো দিনে আরো অন্তত পাঁচটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।’
পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে সাতদিনের মধ্যে চট্টগ্রামে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশসহ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।হাইকোর্টের সেসব নির্দেশনা অনুসারে চট্টগ্রাম প্রশাসন কার্যক্রম শুরু করলেও লোহাগাড়া ও আরো কিছু জায়গায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করে শুধুমাত্র জরিমানা আদায় করা হয়। কিন্তু আদালতের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন রিটকারীরা।
গত ৩১ জানুয়ারি বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হাসান মোল্লার গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চলমান অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের আবারও নির্দেশ দেন। একই ভাবে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু অবৈধ ইটভাটা বন্ধের এ পদক্ষেপ ঠেকাতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন চট্টগ্রামের ২৩টি ইটভাটার ১৮ মালিক। তবে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের হাইকোর্টের সেই আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের এ আদেশ পেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর গত ৯ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।