জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার শেখ মুজিব রোড থেকে এই যুবকরা গ্রেফতার হয়। এরা পেশাদার ছিনতাইকারী বলে ডবলমুরিং থানার পুলিশ জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), মো. তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জীবন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮), আব্দুর রহমান রানা (২০) ও জনি শাহ (৩২)।
তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, একটি এলজি ও তিনটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, “গ্রেপ্তার যুবকরা একসঙ্গে চলাফেরা করে। তাদের টার্গেট করা লোককে সুবিধামত স্থানে ধরে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত এবং নগরীর বিভিন্ন থানায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে।” তিনি আরও বলেন, “এ গ্রুপের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে কাজ করে। যেগুলো ‘মিস্ত্রি’, ‘ঠ্যাকবাজ’, ‘পাসম্যান’, ‘জমাদার’ ও ‘মহাজন’ নামে পরিচিত।
ছিনতাইকারীরা বলেন, “যারা টার্গেট করা লোককে আটকায় তারা ‘ঠ্যাকবাজ’, যারা মালামাল ছিনিয়ে নেয় তারা ‘মিস্ত্রি’, যারা ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল সরিয়ে ফেলে তারা ‘পাসম্যান’ ও যারা মালামাল জমা রাখে তারা ‘জমাদার’।এছাড়া ছিনতাই করা মালামাল যিনি কিনে নেন কিংবা তাদের টাকা দেন তাকে তারা ‘মহাজন’ নামে ডাকে।”
ওসি মহসিন বলেন, এ দলের দলনেতা তুষার। সে তাদের ‘মহাজন’, বিভিন্ন জনকে ছিনতাইয়ের পরে বেতন পরিশোধ করে। গ্রেপ্তারের পর মোবাইল ফোনগুলোও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
“ছিনতাইকারী তুষার জানিয়েছে, সে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন রেয়াজউদ্দিন বাজোরে আব্বাস উদ্দিন জুয়েল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে।”
চোরাই মোবাইল কেনাবেচার অভিযোগে আব্বাসকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।