আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরো জানান, সমাবেশ চলাকালে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১৯ জন ও ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে।
আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে দলটির সমাবেশে লাঠিচার্জ করেন পুলিশ।
এ সময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলকে নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়ে যান। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান।
বিএনপির সমাবেশের শেষদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করার পর বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপরে ১৫/২০ মিনিট ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
রিজভী বলেন, বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন ১১৯ জনের অধিক নেতাকর্মী। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে।
তিনি আরো বলেন, প্রেসক্লাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা, নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত ও গ্রেফতার করার ঘটনায় আমি বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করছি। পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, তিতুমীর কলেজের সাবেক ভিপি হানিফ, ঢাকা মহানগর উত্তর সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আরজু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সরদার নুরুজ্জামান, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল উত্তর নেতা সাজ্জাদ হোসেন রুবেল।