গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়ায় বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েসহ তিন জনকে কুপিয়ে জখম করে এক দুর্বৃত্ত। শনিরআখড়ার শেখদি ২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন—গৃহিণী ইয়াসমিন আক্তার (৩৭), তার মেয়ে মাহমুদা মেহেরিন (১৫) ও একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রুহুল কুদ্দুস বাবু (৪৫)। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত কিশোরী মাহমুদা মেহরিন বলে, তারা ৬ তলা বাড়িটির ৫ম তলায় ভাড়া থাকেন। আর ৬ষ্ঠ তলায় থাকেন রুহুল। রুহুলকে তিনি কাকা বলে ডাকেন। গত রোববার সন্ধ্যায় ছয়তলা বাসার ছাদে মারামারিও চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে তারা মা-মেয়ে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার সময় তাদের পূর্বপরিচিত পরানকে (৪৫) হাতে বড় ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিচে নামতে দেখেন। তখন তারা পরানকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মাহমুদা ও তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান পরান। আহত অবস্তায় মা-মেয়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে মা-মেয়েকে সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পান রুহুলকে। এরপর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘাতক পরান সম্পর্কে রুহুল কুদ্দুসের বিয়াই হন বলে জানা যায়। আগে তারা ওই ভবনে একসাথে থাকতেন। বিভিন্ন সময় পরান ইয়াসমিনকে বিরক্ত করতেন। তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিতেন। এছাড়াও নানাভাবে বিরক্ত করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে এসব কারণে তাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরও তিনি মাঝেমধ্যে বিরক্ত করতেন এবং তাদের বাসার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। রুহুল তাকে এসব করতে নিষেধ করলেও তিনি শুনতেন না। জানা যায়, রুহুলকে মারার উদ্দেশ্যে এলোপাথোড়ি কুপিয়ে আহত করেছেন পরান। পরে তার কান্নাকাটি শুনে বাসা থেকে তিনি ও তার মেয়ে বের হলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন পরান।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম থেকে জানা যায়, একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মা ও মেয়ে সহ এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ওই ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।