জানা যায়, ঢাকার রাজধানীর গোপীবাগের কে এম দাস লেনের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন শাহনাজ। তার বাসায় মাঝেমধ্যে আসতেন সজিব নামে এক যুবক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে সময় কাটাতেন সজিব । সজিব পরিবহন শ্রমিক। বেশিরভাগ সময় দুপুরের দিকে শাহনাজের বাসায় আসতেন সজিব। শাহনাজ ও সজিব পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। একসময় সজিব শাহনাজের মেয়ের দিকে নজর দেয়। এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে শাহনাজ সজিবকে হত্যা করে। রাজধানীর গোপীবাগে প্রেমিক সজিব হাসানকে (৩২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রেমিকা শাহনাজ বেগম (৫০)। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আসামি শাহনাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি শাহনাজের স্বামী ‘তার স্ত্রী হারিয়ে গেছে’ এই মর্মে রাজধানীর ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত বৃহস্পতিবার সজিবকে হত্যার পর শাহনাজ তার আসল স্বামীকে ফোন করে আসতে বলেন। এরপর শাহনাজের স্বামী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় আসেন। তখন ঘটনাস্থল থেকে সজীবের ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে শাহনাজকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।