দেশে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৪২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৯১১ জন, বলে জানা যায়।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। করোনায় সংক্রমিত হয়ে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী।
এখন পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজার ৩৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৮ জন।
গত মঙ্গলবার ১৬ হাজার ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে করোনায় সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দু-এক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। এখনো সংক্রমণ নিম্নমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।