পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া আহত ওই ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করেছে ‘টিম-১৯’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যোদ্ধারা।
টিম-১৯ এর সংগঠক সাব্বির হোসেন রকি জানান, আমরা জানতে পারি, সকালে পাগলটি পঞ্চগড় থেকে আসার সময় কে বা কারা তাকে তেঁতুলিয়া বাজারে অনেক ধাক্কাধাক্কি করে। বিকেলে পাগলটি কলোনিপাড়া স্কুল মাঠে দু’জন মহিলাকে দেখে উদ্ভট আচরণ করে, এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আমি খবর পেয়ে গিয়ে দেখি, তার মাথায় অঘাতের চিহ্ন। এরপর তার শার্ট খুলে দেখি, শরীরে অনেক নতুন পুরাতন আঘাতের চিহ্ন। পরে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই তাকে এবং তেঁতুলিয়া থানায় খবর দিই। পাগলটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার চেংরা ইউনিয়নে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির শরীরে কে বা কারা আঘাত করেছে, বলা যাচ্ছে না। দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নতুন পুরাতন আঘাতের শেষ নেই। ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে পড়েছিলো তেঁতুলিয়ার কলোনিপাড়ায় ওই ব্যক্তি। আঘাতের যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে ‘টিম-১৯’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত আপরাধীদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে আমি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কে বা কারা ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করা-সহ তাদের আটক করতে খোঁজা হচ্ছে। এমন মানুষদের ওপর এমনভাবে চড়াও হওয়া মোটেও ঠিক করেনি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার কলোনিপাড়া স্কুল মাঠ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া।