1. xsongbad@gmail.com : Harry Deb Nath : Harry Deb Nath
  2. tauhidcrt8@gmail.com : tauhidcrt8 :
২৫ মার্চ রাতে আ.লীগ-ছাত্রলীগ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় - Songbadjogot.com
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
  • Welcome To Our Website...* এন জি ও ‘আরবান সমিতি’ –মাইক্রো ক্রেডিট ফাইনান্সে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক মহিলা/পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। বয়স ২৫ উর্ধ্ব হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে সরাসরি নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩০১০৪১২৮৮  আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৫-৫৮৭৪১০

২৫ মার্চ রাতে আ.লীগ-ছাত্রলীগ রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়

সংবাদ জগৎ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১
  • ২৬২ বার ভিউ

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ব্যারিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচলে বাধা দেয়।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ।

২৫ মার্চের কালরাতের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ঘনবসতি এলাকাগুলোতে একযোগে হামলা চালায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। আগুন ধরিয়ে দেয় অসংখ্য ঘরবাড়িতে। দেশের অন্য শহরগুলোতে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এবং তৎকালীন ইপিআরের বীর বাঙালি সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ব্যারিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচলে বাধা দেন। কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্র, ট্যাংক আর অস্ত্রসজ্জিত যানবাহনের সামনে নিরস্ত্র প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার। তার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে।’

‘১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভের পর পাকিস্তানি শাসকরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে নিপীড়ন-নির্যাতনের আশ্রয় নেয়, তখনই অসহযোগ আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। বীর বাঙালি তার নির্দেশে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।’

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘আমি ২৫ মার্চের সেই কালরাতের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সালাম।’

‘আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল ও ১০ বছরের শেখ রাসেল, দুই ভ্রাতৃবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, চাচা শেখ আবু নাসেরসহ সেই রাতের সকল শহীদকে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
<