দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার আবারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারি এই সংস্থাটির পক্ষ থেকে গত সোমবার (২৯ মার্চ) রাতেই জানিয়ে দেওয়া হয়— করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন থেকে সব ট্রেনে যাত্রী পাশাপাশি নয়, এক আসন ফাঁকা রেখে বসবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনই অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। আর এসব টিকিট পাওয়া যাবে কাউন্টার ও অনলাইনে।
প্রতিটি স্টেশনে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে রেলের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রেন চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। ট্রেনে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। যাত্রীদের জন্য থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ‘মাস্ক ছাড়া কাউকেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়াও যাত্রার পূর্বে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কোনো ব্যক্তিকে ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না।’
এর আগে দেশে প্রথমবার করোনার সংক্রমণ শুরু হলে টানা ৬৬ দিন রেলসেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। ওই সময়েও ট্রেন চলতো অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে। এক সময় করনোর সংক্রমণ কমে এলে স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় ট্রেনের সেবা।