করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত এসেছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
আর হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুখ্য বিচারিক হাকিম বা মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার পাশাপাশি সব ধরনের অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক মুখ্য বিচারিক হাকিম বা মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব মামলার আসামিদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলার জামিন এবং সকল প্রকার অন্তবর্তী আদেশের কার্যকারিতা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারক ও আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ বিজ্ঞিপ্তিতে।
গত রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কী ঘোষণা আসে, তা দেখে দেশের আদালত কিভাবে চলবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।