নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন৷ বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজলের বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে তাকে এ জামিন দেন৷
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি সকালে আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থিত হন৷ শুনানি শেষে আদালত মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে সাক্ষীদের প্রভাবিত না করা, স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো ভয়ভীতি না দেখানো এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করার শর্তে নিক্সন চৌধুরীকে আগাম জামিন দেয়া হয়।
শুনানিতে নিক্সন চৌধুরীর আইনজীবী ছিলেন ড. শাহদীন মালিক ও মনজুর আলম৷ অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রূপা৷
জামিন পাওয়ার পর শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, জামিনের জন্য যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সব মামলায় সবসময়ই থাকে৷
তিনি জানান, আইনগতভাবে টেলিফোন কনভারসেশন রেকর্ড করার ক্ষমতা কারো নেই এবং রেকর্ডিং সাক্ষ্য হিসেবে আসতে পারে না- এ দুটি বিষয়কেই শুনানিতে খুব গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে৷
শাহদীন মালিক আরো বলেন, ‘‘এজাহারে বলা হয়েছে, মিছিল, মিটিং, শোডাউন করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন৷ আসামি তো একজন৷ তো একজন আসামি মিছিল, মিটিং, শোডাউন করে কেমন করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন!
‘‘তাছাড়া হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ইতোপূর্বে বলেছেন যে, কারো অজান্তে কল রেকর্ড করা বেআইনি, ফাঁস হওয়া বেআইনি৷ আর সংবিধানের ৪৩ ধারায় আমার যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে৷’’
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম চরভদ্রাসন থানায় মামলা করার পর আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন নিক্সন চৌধুরী৷
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলার উপ নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে টেলিফোনে এর কৈফিয়ত দাবি করেন সাংসদ নিক্সন৷ তার প্রার্থী হেরে গেলে মহাসড়ক অবরোধ করবেন- এমন হুমকি দিয়ে নিক্সন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়৷