ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী, গত শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চিরো বিদায় নিলেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) কবরীর ছেলে শাকের চিশতী এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মায়ের অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়, তিনি প্রাণপণ লড়ছেন। আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরবেন।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ কবরীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নন্দিত এই অভিনেত্রী।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন সারাহ বেগম কবরী। কাজ করেছেন ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাতে। ২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়। ইদানীং তিনি দ্বিতীয় সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’ নির্মাণ করছিলেন।
এ দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।