চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার একটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে একটি ব্যানার সাঁটিয়ে দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকারসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হলে পুলিশের রেড জোন ঘোষণা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এরপর একই দিন বিকেলে পুলিশ রেড জোন লিখিত ব্যানারটি সরিয়ে সেখানে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা লিখিত আরেকটি ব্যানার সাঁটিয়ে দেন।।
এদিকে এ ঘটনার দুদিনের মাথায় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এক আদেশে চকবাজার থানার ওসিকে সরিয়ে দেন। তার স্থলে পদায়ন করেন পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলমগীরকে।
এছাড়া চকবাজার থানার ওসিকে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের পরিদর্শক (অপারেশন) পদে পদায়ন করা হয়। তবে বদলির বিষয়ে নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে চকবাজার থানার ওসিকে বদল করা হয়েছে।
পুলিশের রেড জোনের বিষয়টি জানতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সচিব ডা. সেখ ফজলে রাব্বির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলায় একটা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আছে। নিয়মানুযায়ী ওই কমিটির বৈঠকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা চিহ্নিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারপর ওই এলাকাকে রেডজোন হিসেবে বাস্তবায়ন করা হয়। গতবারেও আমরা এলাকা চিহ্নিত করেছি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সেটির বাস্তবায়ন করেছে।তবে এবারে এখন পর্যন্ত রেড জোনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। পুলিশের রেড জোন ঘোষণার বিষয়টি আমরা জানি না।
তিনি আরও বলেন, তবে কয়েকদিন আগে নগর পুলিশ আমাদের কাছ থেকে করোনা আক্রান্তের ডাটা নিয়েছিল। সম্ভবত ওইটার ভিত্তিতে তারা কিছু একটা করেছে।
চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি ওমর ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
লকডাউন নিয়ে আরও পড়ুন>>>>>