ঝিাইদহের কালীগঞ্জে সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সদ্য প্রসূত কন্যা সন্তান চুরি হয়। শিশুটি কালীগঞ্জ পৌরসভাধিন বলিদাপাড়া ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামের সন্তান বলে জানা যায়। বাচ্চাটি হারিয়ে যাওয়ার পর স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং ক্লিনিক মালিক ও সংবাদকর্মীদের উপর হামলা করে।
গত সোমবার (২৬এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে এক অপরিচিত নারী বাচ্চাটিকে নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন সংবাদ জগৎ এর মহেশপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, সুমন হোসেন।
চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর বাবা মনিরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার সকালে আমার স্ত্রী সাবানা বেগম প্রসব যন্ত্রনা শুরু হলে কালীগঞ্জ শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করি। দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্ত্যান ভুমিষ্ট হয়। এরপর ক্লিনিকের ৩নং কেবিনে রাখা হয়। কন্যা ও তার মা সুস্থ্য ছিল। ওইদিন বিকালে এক অপরিচিত মহিলা এসে আমার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করে এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে থাকে।এরপর মহিলাটি ক্লিনিকের রিসিভশনে বসে ছিল, তবে মহিলাটা কোন রোগীর আত্মীয় হবে ভেবে কেউ তাকে সন্দেহ করেনি। ওইদিন সন্ধ্যায় শিশু এবং তার মায়েল সাথে স্বজনরা যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন কোন এক সময় ওই মহিলা বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায়।
শিশুটির নানী-মোছাঃ-রহিমা খাতুন জানান, সন্ধ্যার সময় আমার মেয়ের সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্ম হয়। মাগরিবের আজানের সময় সেবা ক্লিনিকে একই হসপিটালের ওয়ার্ডে থাকা একজন মহিলার কাছে একটু ধরতে দেন তার নাতনীকে। তারপরে নানী রহিমা ওযু করার জন্য যায়, ওযু শেষ করে এসে দেখতে পাই হসপিটালে থাকা সেই মহিলা এবং তার নাতনী নেই। অনেক খোজ খবর করে ও কোথাও পাওয়া যায়নি।
এইদিকে সংবাদ পেয়ে ক্লিনিকে আসেন কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ থানার এসআই আবুল কাসেম। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে চুরি হওয়া বাচ্চার বাবার কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি
এদিকে ক্লিনিক মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার পর দুজনেই সুস্থ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতারে ব্যস্ত তখন কেউ বাচ্চাটিকে নিয়ে গেছে। এখন থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন>>>>>>>