ঝিনাইদহে ট্রাক মালিকের পিটুনিতে আল আমিন (২৫) নামে এক ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আল আমিন হরিনাকুন্ডু উপজেলার বড়ভাদড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে।
গত সোমবার (২৬এপ্রিল) মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলাবার (২৭এপ্রিল) ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন সংবাদ জগৎ এর মহেশপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, সুমন হোসেন।
পুলিশ গ্যারেজ মালিক কামারকুন্ডু গ্রামের শহিদুল ও হামদহ এলাকার সুবোল কুমার নামে দুই আসামীক গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে প্রধান আসামী মোতালেব ওরফে মিতালী।
আল আমিনের মা অজলা বেগম গত মঙ্গলবার (২৭এপ্রিল) দুপুরে জানান, তার ছেলে শৈলকুপার মোতালেব ওরফে মিতালীর ট্রাক চালাতো। ওই ট্রাকে সে ৫ বছর হেলপারিও করেছে। গত রোববার (২৫এপ্রিল) দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রাকের একটি চাকা নষ্ট হয়ে যায়। বিকালে ট্রাকের চাকা মেরামত করতে আল আমিন হামদহ বাইপাস এলাকার জনৈক শহিদুলের গ্যারেজে নিয়ে আসে।ট্রাক মালিক পুর্ব পরিচিত ছিল গ্যারেজ মালিক শহিদুলের।
ট্রাক মালিক গ্যারেজে এসে আল আমিনের সঙ্গে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্যান্য ট্রাকের ড্রাইভার, মিস্ত্রি ও টায়ারের দোকানদাররা জোটবদ্ধ হয়ে আল আমিনকে মারপিট করতে থাকে। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার খবর নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর পরই দুই আসামী গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামী ট্রাক মালিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা ট্রাক, ট্যংকলরি, কভারভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দাউদ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন সাগর জানান, গত মঙ্গলবার (২৭এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বড় ভাদড়া গ্রামে নিহত ড্রাইভার আল আমিনের দাফন সম্পন্ন করা হয়। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠ বিচার ও দায়ী ব্যাক্তিদের শাস্তি দাবী করেছেন।