আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ীদের
আগামী ৩ জুন ঘোষণা হতে পারে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। মহামারী কালের এই বাজেট সামনে রেখে সারা দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সরকারের কাছে এরই মধ্যে অসংখ্য প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এফবিসিসিআই এর সাবেক দুই সভাপতির মতে বাজেট বাস্তবায়নে সবার আগে নজর দিতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য খাতে। এক্ষেত্রে শুধু বরাদ্দ বাড়ানো নয়, তার গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন বাবু কামরুজ্জামান। করোনাভাইরাসের থাবায় গত বছরের মার্চ থেকেই বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। বহুদিন থমকে ছিল উৎপাদনের চাকা। নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে আছেন চরম বিপর্যয়ে। কমেছে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যও। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় ছাড়া অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই হয়েছে নেতিবাচক। এমন বাস্তবতায় আগামী ৩ জুন ঘোষণা হতে যাচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। যেখানে নতুন বাজেটের আকার ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৬ লাখ কোটি টাকা। প্রথমবারের মতো ঘাটতি বাজেট ছাড়াচ্ছে ২ লাখ কোটি; যা দেশের ইতিহাসে সর্বেোচ্চ। তবে চলতি অর্থ বছরের তুলনায় কিছুটা কমিয়ে ৭ শতাংশের ঘরে রাখা হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা। মহামারীর এই বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাবেক দুই সভাপতি। আসছে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা বেশি। তবে বাজেটীয় আয়ের বড় অংশের নির্ভরতা এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং মহামারীকালের বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের বাড়তি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা হচ্ছে তার ওপর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অনেকটা নির্ভর করবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।