প্রতিদিন এর জনজীবনে প্রতিনিয়তই যেন বেড়ে যাচ্ছে ব্যাস্ততা ।
আর এই ব্যাস্ততাকে নিরসন করতে যানবাহন এর গুরুত্ব অপরিসীম ।
আমরা প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে , বা স্কুল কলেজে বা অন্য কোন কাজে গেলে সাধারনতই গাড়ি ঘোড়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য যানবাহন এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু পরিমাণ দরকার তা আর বলার দরকার হয় না ।
আর এই ব্যাস্ততা আরেকটু সহজ হয়ে যায় সময়ের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে বা নির্ধারিত স্থানে পৌঁছালে । তবে শহরের এই বিরাট যানজট এর ফলে অনেক সময়ই আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে সঠিক সময়ে পৌছানো সম্ভব হয় না ।
তবে যদি আমরা বাইকে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাই সেক্ষেত্রে যানজটের কারণে সময় নষ্ট হওয়ার পরিমাণ টা অনেক অংশে কমে যায় ।
এরকম কিছু অ্যাপস আমাদের দেশে চলমান আছে যেগুলো দ্বারা আমরা বাইকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পেয়ে থাকি ।
তবে এই সার্ভিস টা চালু করা হয়েছিল শুধু যাদের বাইক আছে তারা কোন কাজ এর তাগিদে বের হলে বা অবসর সময়ে, বা কর্মক্ষেত্র থেকে ঘরে ফেরার সময় যাতে রাইড শেয়ারিং করে কিছু টাকা উপার্জন হয় এবং যাদের বাইক নেই কিন্তু তারাহুরো আছে তাদের একটু উপকার হয় বা পার্টটাইম জব হিসেবে ও নিতে পারে তারা ।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে এই রাইড শেয়ারিং কে পেশাদারিত্বে রুপ দিয়েছে আমাদের বাইকার রা ।
এখন অ্যাপস ছাড়াই তারা ভাড়ায় চালাচ্ছে বাইক শেয়ারিং সার্ভিস , এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে এটাই অনেকের ফুলটাইম পেশায় পরিনত হয়েছে।
অনেকে বিভিন্ন শো-রুম থেকে কিস্তির সুবিধায় কিনছে বাইক ও রাস্তায় নেমে ডেকে ডেকে নিচ্ছে যাত্রী , এবং চাচ্ছেন তাদের মন মতো ভাড়া ।
যেহেতু তাদের কোনো ভাড়া নির্ধারণ করা নেই তাই তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার ভাড়া চাইছে এক সময় এক রকম । তবে এই করণাকালিন সময়ে বাইকে রাইড শেয়ারিং অনেক ক্ষেত্রেই উপকার করেছে জনগণের ।
এক বাইক রাইডার এর সাথে কথা বলে জানা যায় যে প্রতিদিন সকালে বের হলে সারাদিন রাইড শেয়ারিং করে ১০০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায় ।
তবে এটাও এখন বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়তা করছে বলে জানান বাইক রাইডার রা ।