ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সে জন্য এলাকার মানুষ চায় এলাকার সন্তান হিসাবে সরকারী ছুটির দিনে এলাকায় এসে স্বাস্থ্য সেবা অব্যাহত রাখি। সে জন্য ছুটির দিনে এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকি। সাধারন মানুষ চাইলে এলাকায় যাবো না চাইলে যাব না ।
গরীবের ডাক্তার সুজাত আহমেদ স্বাস্থ্য সেবা দিয়েই চলেছেন। শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি গরীব দুঃখী মানুষের সেবা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে একটি স্বার্থনেশী মহল। তারা বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তার পরেও তিনি এলাকাবাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপকূলীয় জনপদ কয়রার এই কৃতি সন্তান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা অবস্থায় নাম মাত্র ফ্রি নিয়ে গরীব-দুখী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি সিভিল সার্জন হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে খুলনায় যোগদান করেছেন। এলাকাবাসীর অনুরোধে সরকারী ছুটির দিনে কয়রায় এসে সিভিল সার্জন হয়েও সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের দুঃখ দুরদশার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য সেবা অব্যহত রেখেছেন। যার ফলে সাধারন মানুষ এলাকার বসে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। তার এই সেবা কার্যক্রম একটি স্বার্থনের্শী মহল ভালো ভাবে দেখছেন না। তারা চায় গরীবের ডাক্তার সুজাত আহমেদ যেন নাম মাত্র ফ্রি নিয়ে এলাকায় এসে রুগী না দেখেন । সে জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছেন। তবে এলাকার গরীব-দুখী মানুষ ডাক্তারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবী তিনি বিগত দিনে যে ভাবে কয়রার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছেন আগামীতে ও দিয়ে যাবেন ।
এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কয়রায় না থাকাতে গরীব দুখী মানুষ অনেক কষ্ঠ পাচ্ছে। কয়রার মানুষ চায় তিনি সরকারী ছুটির দিন এলাকায় এসে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা অব্যহত রাখুক। কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার বলেন, ডাক্তার সুজাত আহমেদ সিভিল সার্জন হয়েও অবহেলীত কয়রার মানুষের কথা চিন্তা করে ছুটির দিনে এসে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যচ্ছেন এটা আমাদের জন্য অনেক প্রাপ্তি।