নিউজ ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমনির করা ‘যৌন আক্রমণ ও হত্যাচেষ্টার’ মামলায় মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ সহ পাঁচজনকে মাদক আইনে গোয়েন্দা বিভাগের করা আরেকটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান অঞ্চলের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন, নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে কে সাতদিন রিমান্ডে দেয়া হয়।
গতকাল সাভার থানায় ঢাকার একটি ক্লাবে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন পরীমনি। মামলায় পরীমনি ছয়জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন।
এদের দুইজনকে নামে এবং বাকি চারজনকে অজ্ঞাতনামা বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঘটনাস্থল হিসেবে ঢাকার একটি ক্লাবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঘটনার পরদিন পর্যন্ত ক্লাবটির পরিচালক ছিলেন।
নাসির উদ্দিন মাহমুদকে তার উত্তরার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তিনজনকে নারীকেও গ্রেফতার করা হয়।
মশিউর রহমান বলেছেন, গ্রেফতারের সময় সেখান থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। পরীমনির করা মামলা ছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ মাদকদ্রব্য আইনে আর একটি মামলা করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৮ই জুলাই দিতে বলেছে আদালত। গ্রেফতার তিন নারীকে তিন দিনের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে।
১৩ ই জুন প্রথমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লিখে এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করে তার ওপর যৌন আক্রমণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেন ঢাকাই ছবির শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী নায়িকা পরীমনি।
একই সাথে তিনি অভিযোগ করেন যে গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন মাহমুদ তাকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
চারদিন ধরে থানায় ঘুরে ‘প্রতিকার না পাওয়ার’ অভিযোগও আনেন এই নায়িকা। ফেসবুক পোষ্টে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলার সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন পরীমনি।
নাসির উদ্দিন মাহমুদকে গ্রেফতারের সময় স্থানীয় গণমাধ্যম তার সাথে কথা বলে।
সম্প্রচারিত ভিডিওতে নাসির উদ্দিন মাহমুদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে পরীমনি ও তার বন্ধুরা মদ্যপ অবস্থায় অনেক রাতে ক্লাবে আসেন।
ক্লাবের বার থেকে দামি মদের বোতল জোর করে নেয়ার চেষ্টা করেন।
তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “ওনারা যখন আসেন তখন আমি বের হয়ে যাচ্ছিলাম। ক্লাবে তখন সিকিউরিটি, অফিসার, সেক্রেটারি তেমন কেউ উপস্থিত ছিল না। তারা খুব উচ্ছৃঙ্খল ভাবে ঢুকেছে। ওদের সাথে একটা ছেলে ছিল সে তখনই দুলতেছিল। এরা সবাই মদ্যপ অবস্থায় ঢুকেছে। এরা বারের কাউন্টার থেকে খুব দামি ড্রিংকসের বোতল নেবার চেষ্টা করেছে। আমি তাদের বলি যে এটা নিতে হলে কোন অ্যাকাউন্টের এগেনস্টে নিতে হবে।…….”