1. xsongbad@gmail.com : Harry Deb Nath : Harry Deb Nath
  2. tauhidcrt8@gmail.com : tauhidcrt8 :
মাহরাম নদীর মুখ থেকে বালু উত্তলন না করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন - Songbadjogot.com
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০১:২৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
  • Welcome To Our Website...* এন জি ও ‘আরবান সমিতি’ –মাইক্রো ক্রেডিট ফাইনান্সে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক মহিলা/পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। বয়স ২৫ উর্ধ্ব হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে সরাসরি নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩০১০৪১২৮৮  আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৫-৫৮৭৪১০

মাহরাম নদীর মুখ থেকে বালু উত্তলন না করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ১৪৩ বার ভিউ

তাহিরপুর প্রতিনিধি : রোকন উদ্দিন,।সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন না করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। গত রবিবার এলাকার জনস্বার্থে এ আবেদনটি করেন উপজেলার ৪নং বড়দল (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম।

জানা যায়, উপজেলার ৪নং বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের রাজাই মৌজার চালিয়ারঘাট মানসীগোফ মৌজাস্থীত ও মাহারাম (পাটলাই) নদীর সাথে যাদুকাটা নদীর সংযোগ থাকায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে নদীর তীরবর্তি বিস্তীর্ণ এলাকা ও বোর ধানের হাওর সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যেত। যাদুকাটার শাখা নদী মাহারাম নদীতে প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাঁধ দেয়া হতো অকাল বন্যায় হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য। পাহাড় থেকে নেমে আসা পলি ও বালিতে এবং ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলে মাত্রাতিরিক্ত বালি চলে এসে স্থায়ীভাবে ভরাট হয়ে যায় মাহরাম নদীর মুখ। ফলে ৩৩ বছর ধরে বোরো ফসল রক্ষায় মাহরাম নদীতে আর বাঁধ দেয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।

সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতিকারী ও এলাকার সঙ্গবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র বিভিন্ন পন্থায় মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলনের পায়তারা করছে। প্রাকৃতিক সৃষ্ট বাঁধ থেকে বালি উত্তোলন করলে পাহাড়ি ঢলের আগাম বন্যার হুমকিতে পড়বে মাটিয়ান ও শনি হাওর সহ ছোট বড় হাওরের প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল। গত কয়েকদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র স্থায়ীভাবে বালিতে ভরাট হওয়া মাহরাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। ফলে পর্যটন স্পট খ্যাত শিমুল বাগান সহ নদীর পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রাম হুমকির মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে।

দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে বালিতে ভরাট হওয়া মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন করলে বাঁধ ভেঙ্গে অর্ধশতাধিক গ্রাম হুমকিতে পড়বে।

শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন, মাহারাম নদীর মুখে প্রাকৃতিক উপায়ে পলি পড়ে বিশাল বালির বাঁধ সৃষ্ট হওয়া ভাটি এলাকার হাওর পাড়ের মানুষের জন্য আশির্বাদ। যদি এ বাঁধটির মুখ থেকে বালি উত্তোলন করা হয় তাহলে উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামসহ হাওরের বোর ফসল হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, এ বছরই বৈশাখ মাসে যে পাহাড়ি ঢল এসেছিল, যদি মাহারাম নদীর মুখে বালির বাঁধ না থাকতো তাহলে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষা করা যেত না।

মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ বলেন, মাহরাম নদীর স্থায়ী বাঁধটি কেটে বালি নিয়ে গেলে শুধু মাটিয়ান হাওর নয় উপজেলার সবকটি বোরো ফসলি হাওর আগাম বন্যার হুমকিতে পড়বে।

উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন করলে তিনটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামসহ হাওরের বোর ফসল অকাল বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। এজন্যই এলাকার জনস্বার্থে নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন না করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার তিনটি নদীতে মাননীয় সুপ্রিমকোর্ট লিজ দিয়েছেন। লিজ ব্যাতিত কোন স্থান থেকে অবৈধ ভাবে কেউ বালি উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর