শাকিল মন্ডল রাঙামাটি থেকেঃ আজ ১৬ই জুন রোজ বুধবার সকাল হতে ভূষনছড়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডেই জেলেদের চাল বিতরন করা হয় বলে জানা যায়,উল্লেখ্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তিনমাস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জেলেদের চাল দিয়ে সহোযোগিতা করা হয়৷
তারই ধারাবাহিকতায় ভূষনছড়াতেই আজ এক মাসের ২০ কেজি চাল জনপ্রতি প্রদান করা হয় বলে জানা যায়,চাল প্রদানের সময় প্রত্যেকজন হতে ১০০ টাকা করে নেয়া হয় বলে অভিযোগ আসলে সেখানে যাবার পর তার সত্যতা মেলে৷
৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জলিল স্বীকার করেন যে তারা খরচের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন এবং তিনি এই বিষয়য়েও জানান যে তার অনুরুপ প্রত্যেক ওয়ার্ডেই ১০০ টাকা করে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে খরচের কথা বলে৷
এ সময় তার কাছে বিতরনের মাস্টার রোল দেখতে চাইলে তিনি বলেন তার নিকট মাস্টার রোল নেই,মাস্টার ছাড়াই কোনরকম সাক্ষরিত ছাড়াই সেখানে চাল বিতরন করেন তিনি যা সম্পুর্ন অনিয়ম৷
জানা যায় ভূষনছড়া ইউনিয়নে প্রায় ৭২০ জনের নামে জেলের চাল আসে হিসেব অনুযায়ী ৭২০ জন হতে ১০০ টাকা করে নিলে ৭২,০০০(বাহাত্তর হাজার) টাকা হয়৷
ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন হচ্ছে বরকল হতে ভূষনছড়ায় চাল আনয়নের জন্য বোট ভাড়া সর্বোচ্চ ২০০০-৩০০০ টাকা হবে৷ যদি বোট ভাড়া সর্বোচ্চ ২০০০ – ৩০০০ টাকা হয় তবে বাকি ৭০০০০ টাকা কার পকেটে যাচ্ছে? এক মাসে যদি ৭০০০০ টাকা নামহীন কারো পকেটে চলে যায় তবে তিন মাসে জেলেদের চালের আনয়ন খরচের নাম করে ২,১০,০০০(দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকা কোথায় যাচ্ছে? এমন বহু প্রশ্নই এখন জনসাধারণের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে৷
এই বিষয়ে জানতে বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জুয়েল রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এরুপ কোন খরচের টাকা নেয়া সম্পুর্ন নিষিদ্ধ এবং অনিয়ম।
তিনি এই বিষয়ে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান৷