প্রতিনিধি : সাঈম সরকার, আশুলিয়ায় এক অসহায় সুন্দরী কিশোরী মেয়ে (১৩) কে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে গার্মেন্টস ও সিনেমা হল মালিকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-৯ কোর্টে মোঃ কামাল হোসেন ওরফে হল কামালসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর মা। মামলা নং ১৮৫/২০২১ ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী) (০৩) এর ৯/ (১) ৩০ । রাজধানী ঢাকার উত্তরা’র ১১ নং সেক্টরের ১৪ নং রোডে বাড়ি ও বর্তমান ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন (পল্লী বিদ্যুৎ পূর্বপাড়া) ডেন্ডাবর এলাকার শেখ মোহন আলী ও হাসিনা বেগমের ২য় ছেলে মোঃ কামাল হোসেন ওরফে হল কামাল (৪৮), এবংমোজাম্মেল আশুলিয়ার , (চক্রবর্তী) নবীন টেক্সটাইল এর দক্ষিণ পাশ্বের এলাকার মোঃ আব্বাস (৪০) এর সহযোগিতায় ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে । মামলা দায়ের করার পর নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ।
মামলার বাদিনী জানায়,তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান । ধর্মীয় ওনৈতিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এবং দেশের প্রচলিত আইন কানুনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল, ৪ নং স্বাক্ষী তাহার নাবালিকা কন্যা (ভিকটিম) বটে । অপরদিকে আসামীদ্বয় নারী লোভী, অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী এবং আইন- কানুনের প্রতি নৃন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নাই বটে । যেহেতু বাদিনীর নাবালিকা কন্যা ভিকটিম গত ০৫/০১/২০২১ইং তারিখে ১ নং আসামীর ‘সিনিয়া টেক্স’ পোশাক কারখানায় চাকুরি নিয়া চাকুরি করিতে থাকেন । পরবর্তীতে ভিকটিম সুশ্রী ও সুন্দরী কম বয়সী হওয়ায় ১নং আসামীর লোলুপ দৃষ্টিতে পড়ে । এরপর ১নং আসামী কামাল ওই বাদিনীর নাবালিকা কন্যা ভিকটিমের প্রতি কুদৃষ্টি প্রদান করিয়া বিগত ১৪/০১/২০২১ইং তারিখে ১নং আসামীর অফিস/ ফ্যাক্টরীর ঠিকানা উত্তরা’র অফিস শেষে বিকেল ৫টার পর ২নং আসামীর সহযোগীতায় নিয়ে গিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় ভিকটিম তা রাজি না হওয়ায়-কৌশলে তাকে কোমল পানীয় কোকের সাথে নেশা জাতীয়দ্রব্য পান করাইয়া অচেতন করে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করেন । এ ঘটনা কাউকে বললে জীবনে শেষ কারিয়া ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে কামাল। হত্যার হুমকির ভয়ে বাদিনীর কন্যা কাউকে এ ধর্ষণের কথা বলে নাই। এরপর ১০/০২/২০২১ইং তারিখে বাদিনীকে তার কন্যা ধর্ষণের ঘটনা বলে, এরপর বাদিনীর মাতা ১৪/০২/২০২১ইং তারিখে ১ নং আসামীকে তাহার বর্তমান ঠিকানার বাসায় ডাকিলে এবং তাহার মেয়ের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড অর্থাৎ ধর্ষণের বিষয়টি জানতে চাইলে ১নং আসামী কামাল তা স্বীকার করেন, এবং তাহার নাবালিকা কন্যাকে বিবাহ করিবে বলে তখন রাজি হয় । এরপর সর্বশেষ আবারও গত ৭ জুন ২০২১ইং রাত ১০টার দিকে কামাল বাদিনীর বর্তমান ঠিকানায় যায় এবং আবার তাকে ধর্ষণ করে জানা গেছে, উক্ত ঘটনার পর বাদিনী তার মেয়েকে ১নং আসামী কামাল হোসেন এর বিয়ে করতে বলার কারণে কামাল ক্ষিপ্ত হয়ে তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়া গুলি করে ভুক্তভোগী পরিবারকে মেরে গুম করার হুমকি প্রদান করে বলে ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন জানায় ।
আরো জানায়, কোর্টে মামলা হওয়ার পর তাহা প্রত্যাখান করে নেওয়ার জন্য বিবাদিগণ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে মামলার বাদিনীকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে । রাজি না হওয়ায় বাদিনীর পরিবারের সবাইকে মেরে গুম করার হুমকিও দিচ্ছে তারা । নিরুপায় হয়ে আপোষ করা ছারা আর কোন পথ খুজে পাচ্ছে না বলে জানায় ভুক্তভুগি পরিবার ।