আজ থেকে চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে সীমিত আকারে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। সকাল ৬ টা থেকেই এই লকডাউন পালনে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। ৩ দিনের এই সীমিত আকারে লকডাউন আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলবে এবং তারপর থেকেই কার্যকর করা হবে কঠোর লকডাউন । তবে কর্মসংস্থান খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করায় অফিসগামী যাত্রিদের ও সাধারণ জনগণ কে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। চট্টগ্রাম এর বহদ্দারহাট থেকে আজ সকালে সংবাদ জগৎ এর ক্যামেরায় ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাস চালকরা বাস ভর্তি করে গাদাগাদি করে যাত্রি নিয়ে যাচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে । করোনার প্রাদুর্ভাব কে ঠেকানোর জন্য যেখানে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার সেখানে বেপরোয়াভাবে অধিকতর যাত্রি পরিবহন করে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সকল বাস চালকরা । সকাল থেকেই চট্টগ্রামের ষোলশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট এলাকাগুলোতে বিভিন্ন দোকান পাট ও বন্ধ করতে দেখা গেছে । তবে কর্মসংস্থানগামী যাত্রিদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক বলেছেন ” সরকার সীমিত আকারে লকডাউন ঘোষণা করেছে আমরা সবাই সেটাকে সাধুবাদ জানাই , তবে অফিস , কল- কারখানা , পোশাক কারখানা খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কেমন লকডাউন কার্যকর কতটা যৌক্তিক হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয় তার ওপর গাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা ! ২০ টাকার গাড়ি ভাড়া চাইছে ৬০ টাকা চাইছে রিকশা ওয়ালা গুলো । এ যেন রঙমন্চের নাটক দেখছি প্রতিনিয়ত । তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন আরো কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ।