তাহিরপুর প্রতিনিধি : রোকন উদ্দিন, তাহিরপুর, সাম্প্রতিককালের বিরামহীন বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রাদূর্ভাব। এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষজন। গত কয়েক-দিনে উপজেলার অর্ধশত গ্রামের লোকজন উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে (ব্যাকটেরিয়া) জনিত কারনে টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড, জ্বর, রক্ত আমাশয়, ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’ সারাদেশে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে লকডাউন ঘোষণার পর অনেকেই যেতে পারছেন না উপজেলা সদর হাসপাতালে ফলে সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই।করোনা আতঙ্কে উপজেলা সদরের হাসপাতালে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না অনেকেই। করোনা পরীক্ষা নিতেও অনিহাও দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে।বিকল্প ভাবে সাহায্য নিচ্ছেন আশাপাশে থাকা বিভিন্ন বাজারের পল্লী-চিকিৎসকদের।পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন পল্লী-চিকিৎসকরা।কদর বেড়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় নাপা, নাপা-এক্সটা, হিস্টাসিন, মেট্রো নিডাজল, ফ্লাজিল ট্যাবলেট ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সহ খাবার স্যালাইনের।’
পানিবাহিত রোগের প্রভাব পড়েছে উপজেলার, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের-মন্দিয়াতা, মইঁয়াজুরি, কামালপুর, মুজরাই, শ্রীয়াগাঁও, ছিলানি তাহিরপুর, জয়পুর, গোলাবাড়ি, ইন্দ্রপুর, ব্রিনদপুর,পানিয়াখালি, খলিশাঁজুড়ি, নয়াবন্দ। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের-পাঠাবুকা,সুলেমানপুর,মানিক খিলা,রাম সিংহপুর, লামাগাঁও, ধুমাল,মোয়াজ্জেমপুর। অপরদিকে দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের-ট্যাকাটুকিয়া, কামারকান্দি, কাউকান্দি, বৃহত্তর গ্রাম বড়দল, মাটিকাটা, লেদারবন্দ, সাদেরখলাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বসহকারে দেখবো