তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ রোকন উদ্দীন, সুনামগন্জের তাহিরপুরে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন । নিয়মিত লোডশেডিং ছাড়াও আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে তার নিশ্চয়তা নেই। দিনরাত যখন ইচ্ছা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা যেন অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের এমন আসা-যাওয়ার কারণে রাতে তীব্র গরমে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না জনগন। শিক্ষার্থীরা রাতে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, তাহিরপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যুৎনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় বহু ইজিবাইক চালক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।তাহিরপুর উপজেলার বিশিষ্ট রাজনিতীবিদ ও ব্যাবসায়ী জনাব মেহেদী হাসান উজ্জল বলেন তাহিরপুর সদরে অফিস আদালত থানা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকার পরেও ‘এই অন্চলে মাসের অধিকাংশ সময় বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা দেখতে হয়। এমন লুকোচুরি খেলা দেখতে দেখতে মানুষ আজ অতিষ্ট হয়ে গেছে । তাই এই এলাকার মানুষ তাহিরপুর সদরে একটি সাবষ্টেশন করার দাবি তুলছে। সাবষ্টেশন হলে হয়ত এই এলাকার জনগন একটু সস্তি পাবে। মুদি দোকানী সুজিত বনিক বলেন একদিকে লকডাউন আমাদের ঘরে থাকতে হয়।
অন্যদিকে বিদ্যুতের এই লোডসেডিং আমাদের জিবন আজ অতিষ্ট করে তুলছে । আমাদের এখানে দিনে সাত-আট বার বিদ্যুৎ যায়-আসে।আমাদের জনজীবন ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার জন্য অতি তারাতারি তাহিরপুর একটা সাব ষ্টেশন স্থাপন করা হউক।