1. xsongbad@gmail.com : Harry Deb Nath : Harry Deb Nath
  2. tauhidcrt8@gmail.com : tauhidcrt8 :
জিবন যুদ্ধে এক পরাজিত সৈনিক, কেউ কথা রাখেনি - Songbadjogot.com
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
  • Welcome To Our Website...* এন জি ও ‘আরবান সমিতি’ –মাইক্রো ক্রেডিট ফাইনান্সে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক মহিলা/পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। বয়স ২৫ উর্ধ্ব হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে সরাসরি নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩০১০৪১২৮৮  আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৫-৫৮৭৪১০

জিবন যুদ্ধে এক পরাজিত সৈনিক, কেউ কথা রাখেনি

তাহিরপুর প্রতিনিধি : রোকন উদ্দীন,
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১
  • ২৮০ বার ভিউ

তাহিরপুর প্রতিনিধি : রোকন উদ্দীন,গরিবকে নিয়ে সবাই মজা করে! সবাই কয় তুমারে একটা ঘর দিমু, তুমার ঘরে সোলার লাইট লাগাইয়া দিমু, ঈদ আইতাছে দেখা কইরো নতুন কাপড় কিনে দিমুনে। কিন্তু কেউ কিচ্ছু দেয় না, খালি আমারে মিথ্যে আশা দিয়া রাখে’। ‘জীবনের প্রথম সময়টা ভালো কাটলেও, শেষ সময় টায় যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। নিজের একসময় জায়গাজমি ছিলো, অভাবে পরে এগুলাও বিক্রি করতে হলো’। ‘বৃদ্ধ বয়সে অন্যের ছোট্ট একটি ঘরে জীবনযাপন করতেছি। তাও আবার ঘরে কোনো লাইট নাই’। একদম অন্ধকার ঘরের মধ্যে রাত্রী কাটে।

‘গ্রামের সবাই সন্ধ্যা হলে দেখি ঘরে লাইট জালায়, তারার ঘর গুলো কত পসর (উজ্জ্বল) হয়’। আর আমার টাকা পয়সা না থাকায় ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নাই, বিদ্যুৎ সংযোগ হইলেই বা মাসের মাস বিল দিবো কিভাবে? স্ত্রী-সন্তান কেউ নাই! আয় রোজগারও তো করতাম পারি না বৃদ্ধ বয়সে! মাইনষে (মানুষ) যা দেয় তাই খাইয়া কোনোরকম বাঁচি। ‘যদি কেউ একটা দু’ই লাইটের সোলার (সৌর বিদ্যুৎ) দিতো, তাইলে আমিও সোলারের লাইট আমার ঘরে জালাইতে পারমু। সবার ঘর গুলো যখন পসর (উজ্জ্বল) অয় তখন আমার ঘরও পসর অইবো’। আর প্রতিমাসে বিল দেওয়ার ও কোনো চিন্তা নাই! কতো শান্তি অইবো, অন্ধকার দূর হইবো। ‘সামনে ঈদ আইতাছে, সবাই নতুন কাপড় পরবো! আমার কোনো নতুন কাপড় নাই? ঈদের জামাতে জাইমু কি পইরা? গরিব বলে কী আমার কেনো মূল্যে নেই? আমি কি মানুষ না? এসব কথা গুলো এ প্রতিবেদক কে বলেছেন বৃদ্ধ আহাদ আলী (৭৯)।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানা যায়, বৃদ্ধ আহাদ আলীর কোনো স্ত্রী-সন্তান নেই। বৃদ্ধ বয়সে একাই বসবাস করছেন আহাদ আলী । নিজের কোনো জায়গাজমি না থাকায় একই গ্রামের মতি মিয়ার ছোট্ট একটি ঘরেই আশ্রয় নেন তিনি। ঘরটি তুলনামূলক ভাবে খুবই ছোট্ট। বসবাসের একদম অনুপযোগী। তাও ঘরে কোনো প্রকার লাইট নাই, ফ্যান নাই , ভালো কোনো বিছানাও নাই। বসার মতো কোনো যায়গা নাই। সামর্থ্য না থাকায় প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই ক্রয় করা সম্ভব হয় নি তার। এখন উনার একমাত্র ভরসা দেশের বিত্তবান মানুষেরাই। দেশের এমপি – মন্ত্রী, নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠন যদি কিছুটাও সাহায্য করতো তাহলে তার জীবনে কিছুটা পরিবর্তন আসতো।

“বৃদ্ধ আহাদ আলী (৭৯), সুুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর (দঃ) ইউপি’র সুলেমানপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা”। ‘বৃদ্ধ আহাদ আলী বলেন, কি আর কইমু দুঃখের কথা! প্রথমেই তো কইলাম! আমারে সবাই খালি ধোঁকা দেয়। সবাই যে আশ্বাস গুলো এপর্যন্ত আমারে দিছে, তার সামান্য পরিমাণ যদি পাইতাম তাহলেও দু’ই মোটো ভাত শান্তি মতে খাইতা পারমু। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সহ সমস্ত মুসলমান ভাইদের সাহায্য কামনা করি’। ‘তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সহযোগিতা করার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর