নোয়াখালী প্রতিনিধি : রিয়াজ উদ্দিন রুবেল, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বিভিন্ন পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে হাটের বেচাকেনা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারে গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা খাসেরহাটে সৈকত সরকারি কলেজ মাঠে ও চরবাটা খাসেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরু,ছাগল,মহিষ,ভেড়ার হাট বসে। গরু ক্রয় করতে এসে মহিম উদ্দিন জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) চরবাটা খাসের হাট বাজারে প্রথম গরুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী। লকডাউন থাকার কারণে অনেকে আগে থেকে খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনে নিয়েছে। এখন বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম কিন্তু দাম বেশি। যে গরুর দাম ছিল ৫৫-৬০ হাজার সেই গরু আজ ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গরু ব্যাপারি আবদুল মালেক জানান, লকডাউন থাকার কারণে অনেকে খামার থেকে গরু কিনে নিয়েছে। খামারিরা অনেক আগে থেকে খামারে গরু কিনে রাখলেও লকডাউনে বাজারে হাট বসবেনা ভেবে কম দামে পশু বিক্রি করে দিয়েছে। এখন লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে দাম কিছুটা বেশি। চরবাটা খাসেরহাট বাজারের ইজারাদার এনামুল হক জানান, এ বাজারে সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। আগামী বুধবার কোরবানির ঈদ, এতদিন যেহেতু লকডাউন ছিলো তাই পশুর হাট বন্ধ ছিলো। এ বাজারে আর হাট বসবে শুধু রবিবার। আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনে আজ হাট চালু করেছি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাটে গরু,মহিষ,ছাগল,বেড়া নিয়ে বিক্রেতারা আসতে শুরু করে। আমরা হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়,বিক্রয় করতে বার বার মাইক এ সতর্ক করি এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করি।