মহেশখালি উপজেলা প্রতিনিধি : আবুল কাশেম, পরিস্থিতির কারণে মাতারবাড়ীতে প্রতিনিয়ত করোনা রোগী বাড়তেছে। আজকে ও ৯ জন পাইছে, স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। সারাদেশের অবস্থা খুব করুণ মানুষ সিট আর অক্সিজেন না পেয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন।ইতোমধ্যে কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে সিট খালি নেই। এদিকে মাতারবাড়ীতে মানুষ এখনো অসচেতন। এর প্রধান কারণ মানুষের আয় নেই, যা মাধ্যম ছিল তা প্রকল্পে চলে গেছে। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। এরপরও বাধ্য হয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। দেশ বাঁচাতে। তবে কালোনাক হাঙ্গরদের কে থামাবে। যা প্রতিনিয়ত বাহির থেকে লোক আনতেছে। টাকার কাছে প্রতিনিয়ত দেশ বিক্রি করে বহিরাগতদের কাছে। করোনা প্রতিরোধে তাদের অবদান কি? মাতারবাড়ীবাসী সভ্য জাতি, কারণ তারা অধিকার আদায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম-উখিয়া হয়নি। কেউ আসলে জনসংখ্যা নিয়ে বরণ করে নেই।
বর্তমানে মাতারবাড়ীতে করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কতজনের লোকেশন জানি, তাদের বর্তমান কি অবস্থা কত জনে জানি। কতদিন পূর্বে দেখলাম বিভিন্ন বাড়িঘর লকডাউন করা হইছে। কি দুর্ভাগ্য আমাদের। এইগুলো এখন আর নেই। এসব বাড়িতে মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। গোপন সূত্রে জানলাম, মাতারবাড়ীতে করোনা আক্রান্ত অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদের বেশিরভাগই বহিরাগত। তাহলে তারা কোথায় আছে, কিভাবে আছে জানি না। এর কারণে আরও কতজন করোনা আক্রান্ত হবেন ভাবছেন। তাই দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করব আরও দায়িত্ববান হতে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত খোঁজ রাখা। লকডাউন কৃত বাড়িগুলো প্রতিনিয়ত মনিটরিং এ রাখা। দ্রুত কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং এর ব্যবস্থা করা। প্রবেশ পথ গুলোতে কঠোর হওয়া। না হয় আমাদের বাঁচানো যাবে না। সময় গেলে সাধন হয় না। মাতারবাড়ীবাসীদের সচেতন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া এবং মাতারবাড়ীতে স্যাম্পল নেওয়ার জন্য আলাদা একটা বুথ স্থাপন করা জরুরি। লকডাউনকৃত বাড়িগুলো ও করোনা আক্রান্তদের নিয়মিত খোঁজ নিন। না হয় এ বিপদ থেকে শান্ত জাতিটাকে বাঁচানো কখনো সম্ভব নই। মাতারবাড়ীতে গতমাস থেকে স্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তেছে এটা একটু নজরে নিন। মাতার বাড়ী তে যাদের করোনা পজেটিভ হয়ছে,সবাই বহিরাগত শ্রমিক।এখনো পর্যন্ত মাতার বাড়ীর কোনো স্থানীয়দের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়নি।কিন্তু পরবর্তীতে বহিরাগত শ্রমিকের দ্বারা মাতারবাড়ীর লোকজনও যে আক্রান্ত হবে না,তার গ্যারান্টি কে দিবে!তাই বহিরাগত শ্রমিক আমদানি বন্ধ করতে হবে।
ধন্যবাদ।