মহেশ খালী উপজেলা প্রতিনিধি : আবুল কাশেম,কয়েকদিন ধরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও হচ্ছে মুষলধারে বৃষ্টি। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মানুষের ঘর বাড়ি,রাস্তা-ঘাট সহ প্লাবিত হয়েছে অনেক মাছ চাষের প্রজেক্ট। প্রবল বর্ষণে জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের চিংড়ি চাষ। ইতোমধ্যে জানা গেছে, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়ায় অন্তত শতাধিক চিংড়ি প্রজেক্ট পানিতে ভেসে গেছে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা। নার্সারি করা চিংড়ি পোনা ভেসে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এ মুহূর্তে সরকারি সহযোগিতা ছাড়া চিংড়ির চাষ টিকিয়ে রাখা কোনোভাবে সম্ভব নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় অন্তত ৬৫ হাজার একর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতোমধ্যে প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন জেলা মৎস্য অফিস।
কক্সবাজার জেলার, মহেশখালী উপজেলার চিংড়ি প্রজেক্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, তিনটি প্রজেক্টে দু’দফায় প্রায় ৭০ লাখ পোনা নার্সারি করেছিলাম।কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল এবং জোয়ারের পানির কারণে সবকটি ভেসে গেছে। এখন নতুনভাবে পোনা নার্সারি করা ছাড়া বিকল্প নেই। বর্তমানে হ্যাচারী গুলিতে কোন পোনা নেই। এখন আমরা কিভাবে নার্সারি করব তা ভেবে পাচ্ছিনা। স্থানীয়ভাবে যা পোনা সংগ্রহ হয় তার উপরেই নির্ভর করে আগামী দিন চালিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে অন্তত ৩০ শতাংশ মূল টাকা ও উঠে আসার কথা কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষী নাজমুল হাসান জানান এই এলাকার সবকটি চিংড়ি প্রজেক্ট এখন পানির নিচে। আমরা কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা। কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে এখন সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খুব দ্রুত প্রজেক্টে পোনা ছাড়তে না পারলে সমস্ত পুঁজি লোকসান যাবে। যার ফলে আগামী মৌসুমে চাষ করতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, চিংড়ি চাষীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। কোনো সমস্যা হলে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে মৎস্য অফিস প্রস্তুত রয়েছে।