তাহিরপুর প্রতিনধি : রোকন উদ্দীন সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাঠ “শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।” তাহিরপুরের সূচনা লগ্ন থেকেই এই মাঠটি তাহিরপুরের খেলাধুলা ও বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এক সময় এই মাঠেই খেলেছেন নান্দনিক ফুটবলার গাজী আলী আঘবর,আনফর আলী,শফাই মিয়া, এরশাদুল ইসলাম,নবাব মিয়া, যাদের খেলাধুলায় মুখরিত থাকত তাহিরপুর সহ আশ পাশের এলাকার জনগন। বলার অপেক্ষা রাখে না এই মাঠটি আজ তার হারানো ঐতিহ্য খুঁজে ফিরছে। মাঠের সৌন্দর্য অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। যেন কেউ দেখেও দেখার নেই। যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে তাহিরপুরের তরুণ যুব সমাজ। এই মাঠ সংস্কারের জন্য বার বার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যুব সমাজ দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছেনা।তাহিরপুরের এই ঐতিহ্যবাহি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি এখন দুদু বালুচর, মাঠের মধ্যে গর্ত, দুই পাশে ভাংগা,কাদায় ভরা গাড়ি রাখার স্থান,ইটের কনকিট ফেলানো, গোলবার ভাংগা পাশে থাকা বসার স্থান গুলো নির্মান করার কিছুদিনের মধ্যেই ভেংগে মাঠের মধ্যে পরে আছে এ যেন দেখার কেউ নেই। মাঠের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত মেরামত ও সংস্কার প্রয়োজন। এই মাঠটি বাঁচানো গেলে এই এলাকার যুবসমাজের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে।
যদি মাঠের এই বেহালদশা লেগে থাকে তাহলে যুব সমাজের খেলাধুলা বিনোদন ও মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ হবে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই তাহিপুর ন্যাশনাল ক্লাব সহ সকল ক্লাবের জোর দাবি অনতিবিলম্বে কর্তৃপক্ষ দ্রূত মাটঠি সংস্কারের কার্যক্রম গ্রহন করবেন। যাহাতে তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজ পুনরায় এই মাঠে খেলায় ফিরতে পারে।বিশিষ্ট ক্রিয়াবিদ সাজ্জাদ হুসেনের সাথে কথা হলে ওনি যানান তাহিরপুরে নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনেক ভাল খেলোয়ার আছে যারা জেলা টিমে কিংবা বিভাগীয় টিমেখেলার যোগ্যতা রাখে, কিন্তুু আামাদের দুর্ভাগ্য হল আমরা মাঠ পেলাম, কিন্তুু খেলতে পারলামনা, মাঠের সংস্কারের জন্য বার বার বলার পরেও কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া মেলেনি, তাই আমি আমাদের এই এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য কে তাহিরপুরের সকল ক্রিয়ামুদি ভাইদের পক্ষ হতে অনুরুধ করব তরোন প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনি তরিত গতিতে তাহিরপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম টি সংস্কার করার ব্যাবস্থা করে দিলে আমরা যুব সমাজ কৃতজ্ঞ থাকব।