মহেশখালি উপজেলা প্রতিনিধি : আবুল কাশেম পৃথিবীতে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে অনেক মানুষের প্রাণ। করোনা ভাইরাসের তান্ডব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার বারবার দেশে লকডাউন দিলেও কমছেনা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও মৃত্যু।তাই করোনার ভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষা করতে বিশ্বের বিভিন্ন সকল দেশে দিচ্ছে জনগণকে করোনার টিকা। আমাদের বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা ও মানুষের জীবন বাঁচাতে জনগণ কে করোনার টিকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।আজ থেকে তাই শুরু হয়েছে গণটিকা। জেলায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (০৭) আগষ্ট সকালে এয়ারপোর্ট পাবলিক হাই স্কুলে টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, টিকার কোন সংকট নেই। জেলায় ২২৮টি বুথ রয়েছে। বুথগুলোতে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১৪ আগষ্ট থেকে পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবে। করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ঘরেই থাকুন, বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। সাবান—পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী একেএম তারিকুল আলম। কক্সবাজার পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক শামিম আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী হাসান, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝরে পড়ছে অনেক তাজা প্রাণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা।’ পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান আরও বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে কাজ করছে। তাই টিকা নিয়ে কাউকে নিরাশ হতে হবে না। সবাই টিকা পাবে’