রাঙামাটি প্রতিনিধি : শাকিল মন্ডল রাঙামাটির দুর্গম বরথলিতে হেলিকপ্টারে করোনা টিকা নিয়ে যাচ্ছে। বড়থলি ইউনিয়ন। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত দুর্গম একটি এলাকা। ফারুয়া ইউনিয়ন হতে স্থানীয়দের পায়ে হেটে যেতে সময় লাগে ৪দিন। গ্রামটিকে ঘিরে সরকারী নানা কাজে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে হয় হেলিকপ্টার। সেই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গম বরথলি ইউনিয়নের গ্রামবাসীদের করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি অাসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদারের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বরথলি ইউনিয়নে গনটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে টিকা নিয়ে গেলেন বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এই প্রথমবারের মতো ইউনিয়নটিতে কোনো সরকারি কর্মকর্তার পা পড়ল। সকাল ১০টার দিকে কাপ্তাই উপজেলার বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকার হেলিপ্যাড থেকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে বড়থলি ইউনিয়নের উদ্দেশে রওনা দেন ইউএনও মো. মিজানুর রহমান। এ সময় টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীও তার সঙ্গে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা বলেন, ‘দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে এ টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এর আগেও বড়থলি ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে এবং ইউনিয়নের প্রকল্প পরিদর্শন করতে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও দুর্গম এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে যাওয়া হয়নি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিশেষ উদ্যোগে গণটিকাদান কার্যক্রম সফল করতে প্রথমবারের মতো এ ইউনিয়নে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনার গনটিকা কার্যক্রম থেকে যাতে কেউ বাদ না পড়ে সেটি মাথায় রেখে স্থানীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার মহোদয়ের পরামর্শে বরথলি ইউনিয়নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।