শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধিঃ মাসুম বিল্লাহ বগুড়া শেরপুর উপজেলার ছোট-বড় হাট-বাজার, সড়কগুলো কঠোর লকডাউন শিথিল হওয়ায় পুর্বের চির চেনা রুপ ধারন করছে। কঠোর লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও খোলা হয়েছে উপজেলার বাজারগুলোর দোকানপাট। সড়কগুলোতে চলছে গণপরিবহন। খোলা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অফিস, লাইব্রেরি, শপিংমল। আর এসব কিছু মিলিয়ে চাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে শেরপুর।বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার দুবলাগাড়ি বাজার, বাসস্ট্যান্ড, বারোদুয়ারী হাট,রনবিরবালা ঘাটপার, ধুনট রোড মোড় সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, লকডাউন শিথিল হওয়ায় বাজারে কিছুটা ভিড় বাড়ছে তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাচা মালের দোকান পাঠে বেশিরভাগ মানুষ ভিড় করছেন। সড়ক পথেও থেমে নেই জনসমাগম। সড়কে পূর্বের ন্যায় চলাচল করছে বাস,ট্রাক, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গণপরিবহন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সড়কপথে দিনভর মানুষের চলাচল ছিলো চোখে পড়ার মতো। গেল কয়েকদিনের দফায় দফায় বাড়ানো কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের পর তা শিথিল করায় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বারোদুয়ারী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে আসা আল আমিন জানান সরকার মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য লকডাউন ঘোষনা করেন, আমরা সরকারের বিধি নিষেধ মেনে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া এতদিন বাজারে আসিনি, সরকার জনগনের কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধ শিথিল করেছেন তাই আমরা মাক্স পড়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় কেনা কাটা করতে বাজারে এসেছি। বারদুয়ারী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব গোলাম মোস্তফা বলেন দীর্ঘদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরকার এখন বিধিনিষেধ সীথিল করেছে ব্যবসায়ীরা আবার তারা পুনরায় ব্যবসা পরিচালনা করে তাদের ক্ষতি পুশিয়ে নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করি, আমি আশা করি সবাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করবে, বাজারে আসলে সবাই মাক্স ব্যবহার করবে। অটোরিকশা চালক মাসুদ রানা বাবু বলেন সরকারের বিধি নিষেধ মেনে আমরা এতদিন ঘরের বাহিরে রিকশা নিয়ে বেড় হইনাই আমাদের অনেক কষ্ট হইছে সংসার চালাইতে তারপরেও রিক্সা চালানো বন্ধ রেখেছি। সরকার এখন বিধিনিষেধ সিথিল করেছে তাই আমরা মুখে মাক্স পড়ে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি মানুষ এতদিন পায়ে হেটে চলাচল করছে, এখন আবার রিক্সা দিয়ে চলাচল করবে আমরা দুইটা টাকা রোজগার করতে পারব বলে আশা করছি