বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : মাসুম বিল্লাহ বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দাফনের ১১ দিন পর ফাইমা আক্তার (২৭) নামে এক নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ফাহিমা বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সজনাতাউর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। ফাইমার স্বামী সাইদুল গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। বিয়ের পরে মৃত্যু হয় ফাহিমার। ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে গত ১৮ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি করেন ফাহিমার ভাই রিমন। এতে ফাহিমার স্বামী সাইদুল ইসলাম, তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
আর তাই শনিবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদেন্তর জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপজেলার জানপাড়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়েছে।জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৩ সালে ফাহিমা ও সাইদুলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর। গত ১৬ আগস্ট ফাহিমা হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরেরদিন ১৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা আদালতে হত্যা মামলা করা হয়।
ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, ‘ফাহিমাকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। ফাহিমার মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল।’ কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন এএসপি রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তদন্ত চলছে।