বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : মাসুম বিল্লাহ বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বাঁশঝাড় নিয়ে দ্বন্দে প্রতিবেশির ধাক্কায় প্রাণগেল মাও: লুৎফর রহমান (৭০) নামের এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত মাও: লুৎফর রহমান রামেশপুর গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে ও নগর জে এম সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, নিহত মাও: লুৎফর এক বছর পুর্বে বাঁশঝাড়াসহ ৩ শতক জমি ক্রয় করে। সেখানে প্রতিবেশি মৃত আব্দুল হামিদ (শুক্টু)’র ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৫) ও মামুন (৪৫) ময়লা আবর্জনা ফেলাতো। গত ১মাস পুর্বে এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী বৈঠক বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। বুধবার সকালে সেখানে নিহত মাও: লুৎফর রহমানে ছেলে কাহালু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডা: মো মশিউল আলম গাছ লাগাতে যায়। এ সময় মামুন ও মান্নানসহ কয়েকজন ডা: মশিউল আলমকে বাঁশ ও লাঠি শোডা দিয়ে মারধর করে। তার চিৎকারে বাবা লুৎফর রহমান এগিয়ে গেলে মামুন তাকে মারধর করে ধাক্কা দিলে মাটিতে লুটিয়ে পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি আবু তাহের জানান, আমার বাড়ীর পাশে হট্টগোল দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পাই মান্নান ও মামুনসহ মহিলারা বাঁশ ও লাঠি শোডা দিয়ে ডা: মশিউলকে মারধর করছে। পরে বাবা এগিলে এলে মামুন তাকে মারধর করে বুকে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত লুৎফর রহমানের ভাতিজি মুকতাসিনা জানান, আমার জ্যাঠোকে মামুন ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে যায়। আমি পানি নিয়ে তাকে খাওয়াতে নিলে তখন আমার কোলেই মারা যায়। এ বিষয়ে শেরপুর থানা উপ-পরিদর্শক সাচ্চু বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসতালালে পঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।