1. xsongbad@gmail.com : Harry Deb Nath : Harry Deb Nath
  2. tauhidcrt8@gmail.com : tauhidcrt8 :
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
  • Welcome To Our Website...* এন জি ও ‘আরবান সমিতি’ –মাইক্রো ক্রেডিট ফাইনান্সে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক মহিলা/পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। বয়স ২৫ উর্ধ্ব হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে সরাসরি নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩০১০৪১২৮৮  আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৫-৫৮৭৪১০

ভ্রুন হত্যার অভিযোগে প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৩ বার ভিউ

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি : ইসমাইল ইমন ভ্রুন হত্যার মাধ্যমে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে দুবাই প্রবাসী স্বামী সফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সাজু আক্তার। গ্রাম্য সহজ-সরল ওই নারীর পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে আজ (২২/০৯/২১) মামলাটি দায়ের করেন এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং তদন্তের নির্দেশ দেন চান্দগাঁও থানাকে।

মামলা প্রসঙ্গে এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ভ্রুন হত্যার মতো গুরুতর অপরাধ আমাদের সমাজে হরহামেশাই ঘটার কথা শোনা যায়। এ নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযানও চলে ক্লিনিকগুলোতে। তাতে বন্ধ হয়নি ভ্রুন হত্যার মতো গুরুতর অপরাপ। অপরাধীরা অপরাধ করেও বার বার পার পেয়ে যায়। তাই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি একজন ভুক্তভোগী নারীর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের নজরে আনা হয়েছে যেন এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে সাহস না পায়।

কথায় আছে- মাতৃত্বের স্বাদ পূর্ন হয় সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে। একজন নারীর আজন্ম স্বপ্ন থাকে একটি সুস্থ্য সবল শিশুর মা হওয়ার। বিবাহিত জীবনে মা হওয়ার জন্য কতো প্রচেষ্টা থাকে প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর। অথচ সন্তান সম্ভবা হয়েও স্বামী আর শশুর বাড়ির লোকজনের অসহযোগিতায় মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন রাঙ্গুনীয়ার উত্তর পদুয়া পশ্চিম খুরুশিয়ার এক নারী সাজু আক্তার। কখনো জ¦র, সর্দির ওষুধ কখনো বা ভিটামিন ওষুধের নাম করে ওই নারীকে ভ্রুন হত্যার ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতেন তারা। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে নিজেরা দায়িত্ব নিয়েও ওই নারীর গর্ভপাত করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বারে বারে সন্তান সম্ভবা হয়েও সন্তান বঞ্চিত হওয়া ওই নারী। সর্বশেষ সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর আবারো ওই নারীকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য তার প্রবাসী স্বামী চাপ দিলে সন্তান নষ্ট করতে অস্বীকার করেন সাজু আক্তার। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাকের হুমকি দেন স্বামী। করেন শারীরিক, মানসিক নির্যাতনও। ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেন সাজু আক্তারের স্বামী সফিউল আলম।

এটাই প্রথম ঘটনা নয়। মামলার বিবরনে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয়া থানাধীন খিলমোগল খামারিপাড়া হোসনাবাদ এলাকার কাজী সফিউল আলমের সাথে পারিবারিক পছন্দেই বিয়ে হয় উত্তর পদুয়া পশ্চিম খুরুশিয়ার সাজু আক্তারের। বিয়ের কিছু দিন পরেই জানা যায় স্বামী তার পাশের গ্রামের এক নারীর প্রেমে আসক্ত। বিয়ের একমাস পরে বিদেশ পাড়ি দেন স্বামী সফিউল আলম। বিদেশ থেকে আসা-যাওয়ার মাঝে স্ত্রী সাজু সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে সফিউল আলমের পরামর্শে মা নুর আয়েশা এবং বোন তাসলিমা ও পারভিন মিলে চন্দ্রঘোনায় ডা. পাপড়ি দাশের কাছে নিয়ে যান সাজু আক্তারকে। সেখানে গিয়েই ডাক্তারকে গর্ভপাত করানোর ওষুধ দেওয়ার কথা বললে চিকিৎসক প্রথমে রাজী হননি। জানান, মানুষ কতো কষ্ট করে একটা সন্তান পাওয়ার জন্য। আর গর্ভে সন্তান আসার পর সেটা নষ্ট করতে গেলে প্রসুতি মায়ের অনেক সময় জীবন ঝুকিও থাকে। তারপরও পরিবারের লোকজন নিজেদের নাম লিখে দায়িত্ব নিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে রাতে সাজু আক্তারকে একটি ওষুধ খাওয়ালে তার শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। পরদিন থেকে বমি ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে আবারো নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক দ্রুত ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য বললেও পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। অসুস্থ্য অবস্থাতেই জ¦রের ওষুধের কথা বলে আবারো সাজু আক্তারকে ভ্রুন হত্যার ওষুধ খাওয়ানো হয়। এভাবে তার প্রথম সন্তান পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। এখানেই শেষ নয়। বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানানোর জন্য চাপ দিতে থাকে সফিউল আলমের পরিবার। এভাবে বারে বারে ভ্রুন হত্যার ঘটনা ঘটায় সফিউলের পরিবারের লোকজন। 

শশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে সাজু আক্তার ২০২০ সালের জুলাই মাসে তার বোনের বাসা বহদ্দারহাটের ফরিদার পাড়ায় চলে। ইতোমধ্যে ২০২১ সালের ২৯ আগষ্ট সাজুর স্বামী সফিউল বিদেশ থেকে দেশে এসে সাজুর বোনের বাসায় এসে উঠে। সাজুকে আগের সব কিছু ভুলে গিয়ে আবারো নতুন করে সব শুরু করার জন্য বললে সাজুও সব ভুলে আবার নতুন জীবন শুরুর আশায় আগের সব ভুলে যায়। এক পর্যায়ে আবারো সন্তান সম্ভবা হয় সাজু। এবারও আগের মতোই সফিউল তার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার কথা বললে সাজু আর তাতে রাজী হয়নি। এতেই বাধে বিপত্তি। সাজুর উপর নেমে আসে আবারো নির্যাতন। স্বামীর অত্যাচারে অসুস্থ্য হয়ে পড়া স্ত্রীকে তালাকের হুমকি দিয়ে স্বামী এবার ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। অবশেষে আইনের আশ্রয় নেন নির্যাতিতা অসহায় নারী সাজু আক্তার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর