বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকান্ডে ১৭ তম বর্ষে স্মরণসভা করেছে শেরপুর প্রেসক্লাব, বগুড়া। শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধা ৭ টার দিকে শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শেরপুর প্রেসক্লাবে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা’র সম্পাদক ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর সাংবাদিক নিমাই ঘোষ, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত বসাক, কালের কন্ঠ শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি আইয়ুব আলী, সময়ের আলো শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল আলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ জামাল কামাল, জাহাঙ্গীর ইসলাম, সদস্য শহিদুল ইসলাম, উৎফল মালাকার, আব্দুল ওয়াদুদ, অশোক সরকার, শাকিল আহমেদ, সভায় বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ছিলেন একজন নির্বিবাদী মানুষ। দীর্ঘদিন পর পুলিশ এই হত্যাকান্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দুঃখজনক হলেও সত্যি এই ১৭ বছরে ৯ বার তদন্ত বদলিয়ে দীপঙ্কর হত্যা নিয়ে শুধুমাত্র প্রহসন হয়েছে। ঘটনার সময় ও তার পরবর্তীতে সময় থেকেই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর রাতে কর্মস্থল দুর্জয় বাংলা পত্রিকার বগুড়া অফিস থেকে নিজ বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে উপজেলায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাংবাদিক দীপঙ্কর। নিজ বাড়ির কাছকাছি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীপঙ্করের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি দীর্ঘ সময় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি তদন্ত করে। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে পুলিশ ওই হত্যাকান্ডে ইসলামী সঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততা বিষয়টি সামনে আনে। দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীব গান্ধি এই হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।