নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, গণ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, কমরেড মুছা দলের নয় জনগণ ও দেশের নেতা। তিনি কোন সময় নেতা হতে চান নাই, অর্থবৃত্ত, ক্ষমতার লোভে ছিল না তার। ক্ষমতায় গিয়ে এমপি, মন্ত্রী হয়ে ভালো থাকা যায় না বলে কমরেড মুছা এসব পরিহার করতেন। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম ভূমিকায় ছিল মুছার, ষাটের দশকের ছাত্রনেতা কমরেড মুছাকে বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম রাজনীতির ইতিহাস লেখা যাবে না। বর্তমান রাজনীতিতে দূবৃর্ত্তায়ানের কারণে সময় সময় অঘটন হচ্ছে। এর থেকে বাচাঁর জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হওয়ার বিকল্প নেই। সম্প্রতি দূর্গা পূজার ঘটনায় সরকারি দলের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা ছিল নিরব। ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছে দেশের। নষ্ট হতে চলেছে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ঐক্য, সুসম্পর্ক। রাজনীতিকে মূলচালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। মন খারাপের কিছুই নেই। তিনি সরকারি ও বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা সবাই সচেতন থাকলে পীরগঞ্জে আগুন দিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটতো না। এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জেগে উঠার। ১৯৬৪ সালে এ ধরনের সম্প্রদায়িক ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে নেতা কমর্ীদের মধ্যে অনেকে আত্মহুতি দিয়েছিলেন। ছাত্রদের মধ্যে আদর্শহীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক সময় ছাত্ররাই ৬ দফা, ১১ দফা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান সবোর্পরি মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অন্যতম। সে সময় কমরেড মুছার মত লোকেরাই ছাত্র রাজনীতি করতো বলে ছাত্র রাজনীতির প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ছিল। তাই কমরেড মুছা রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি আদর্শিক রাজনীতিবিদ ছিলেন।
গত ২১ অক্টোবর(বৃহস্পতিবার) বিকালে দোহাজারী পৌরসভা চত্ত্বরে নাগরিক স্মরণ সভা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ জেলা কমিউনিস্ট পাটির সভাপতি কমরেড আবদুল নবীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, গণ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. সুব্রত চৌধুরী। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, জেলা কমিউনিস্ট পাটি নেতা যথাক্রমে রতন ব্যানার্জী উজ্জ্বল ভৌমিক, ডা. আশীষ বড়–য়া, রঞ্জিত সিকদার, উপজেলা আ’লীগ নেতা বাবর আলী ইনু, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, কমরেড মুছার ছেলে ডা. মো. সম্রাট, জামাতা যথাক্রমে, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন শাহ ইমন, মো. আলমগীর, আমীর হোসেন, কৃষকলীগ নেতা মাষ্টার হুমায়ুন কবির, নবাব আলী, আবুল কালাম চাষী, শিমুল কান্তি ধর, প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু যশা চক্রবতর্ী, গোপাল ঘোষ, সাংবাদিক আবদুল রাজ্জাক, শিক্ষক রূপক কান্তি ঘোষ, মো. ইছা চৌধুরী প্রমুখ।