1. xsongbad@gmail.com : Harry Deb Nath : Harry Deb Nath
  2. tauhidcrt8@gmail.com : tauhidcrt8 :
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
  • Welcome To Our Website...* এন জি ও ‘আরবান সমিতি’ –মাইক্রো ক্রেডিট ফাইনান্সে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক মহিলা/পুরুষ মাঠ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। বয়স ২৫ উর্ধ্ব হতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদেরকে সরাসরি নিম্নোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩০১০৪১২৮৮  আমাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুনঃ ০১৮১৫-৫৮৭৪১০

ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম কি ও কেন?

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৮৭ বার ভিউ

মহান আল্লাহর পথে মানবজাতিকে আহ্বান করার জন্য যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তেমনি ভাবে ইসলামের সঠিক সরল পথে মানবজাতিকে আনার জন্য যুগে যুগে মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা তথা অলি-দরবেশদের পাঠিয়েছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে তাঁদের সম্পর্কে বলেছেন,
“জেনে রেখো, আল্লাহর অলিদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না”। (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)

ঐ সকল আল্লাহর অলিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ)। উনার স্মরণেই ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম পালন করা হয়।

পরিচয়,জন্ম ও ওফাতঃ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এঁর বাবার নাম সৈয়দ আবু সালেহ এবং মায়ের নাম বিবি ফাতেমা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রাঃ) ৪৭০ হিজরিতে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমির রহ. কাছে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খেলাফত প্রাপ্ত হন। বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রাঃ) এঁর ওফাত দিবস হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি। হযরত আবদুল কাদির জিলানী (রঃ) কে অলিকুল শিরোমণি বলা হয়। তিনি গাউসে আজম দস্তগীর হিসেবে পরিচিত।

ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম এর পরিচয়ঃ ফাতেহা অর্থ দোয়া, ইয়াজদাহম ফার্সি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে এগারো-এর ফাতিহা শরিফকে বোঝায়। এই ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম শরিফ বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এঁর স্মরণে পালিত হয়। এছাড়াও এটি প্রতি আরবি মাসের এগারো তারিখ তথা গেয়ারভী শরীফ ও প্রতি বছর রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ বিশেষ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়।

ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মনেতা বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এঁর নাম প্রত্যেক মুসলমানের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে তাঁর প্রভাব অপরিসীম। তাঁর জীবনী কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে বিশ্ব জগতের মুসলমানদের কাছে হজরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) কে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরকাল স্মরণ করবে।

পৃথিবীতে আল্লাহ পাকের প্রেরিত নবী-রাসূল এসেছেন ১ লাখ বা ২ লাখ ২৪ হাজার। অন্যদিকে কামেল পীর, অলি, দরবেশ, ফকির যে কত এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু সব পীর, ফকির, দরবেশ, অলির সেরা ছিলেন হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের প্রায় ৫০০ বছর পর জন্মগ্রহণ করেন। তখন ইসলাম ধর্ম এক নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল। পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ভুলে মানুষ বিপথে পা বাড়িয়েছিল। ঠিক এমনি সময় হজরত বড়পীর ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। এ কথা অনস্বীকার্য হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রাঃ) এঁর অবদান বিশ্বে অনন্য। তিনি মুসলিমদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এ দিনে তাঁর ফূয়ুযাত ও বরকত হাসিলের জন্য মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মুনাজাত ও তাঁর জীবনী আলোচনা করা একটি ভালো আমল। মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এঁর জীবন ও কর্ম সব সময় স্মরণ ও বাস্তবায়ন করার তওফিক দিন। আমিন।
লেখক
-হাফেজ মো: মোস্তফা
সংগঠক

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর