নিজস্ব প্রতিনিধি চট্টগ্রাম মহানগর চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে থান সদর বাজার (বিদ্দিনী পুকুর পাড়) সরেজমিনে ঘুরে কথা হয় সবজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে তারা জানান বাজারে প্রচুর পরিমানে শীতের সবজি আসলেও দাম তেমন কমেনি,তবে কিছু দিনের মধ্যে দাম নাগালের ভিতরে আসার সম্ভাবনা।
এছাড়াও চন্দনাইশ খাঁন হাট বাজারের বিক্রেতা সেলিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রতি কেজি সিম ৮০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা,শসা ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০টাকা,পালন শাক ৪০ টাকা, গাজর ১০০টাকা কেজি।
এছাড়া, প্রতি কেজি ফুলকপি ৬৭ টাকা, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লেবু ৩৫ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, মাঝারি সাইজের কুমড়া ৪৫-৫০, মাঝারি সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একই বাজারের আমিনুল বলেন, আমাদের চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এখনো নতুন আলু সরবরাহ হয় নাই, আমরা পুরাতন আলু ২০ টাকা, বড় সাইজের আলু ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০থেকে ১২৫ টাকা, আঁদা ১২০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এই বাজারের মাংস বিক্রেতা মোঃ আলী বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস সকালে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের শাহজাহান বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এদিকে, হাঁসের ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা সুলতান বলেন রুই ২৫০ টাকা, বড় সিলভার ১৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, বড় শৈল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।একই বাজারের মদিনা স্টোরের কর্মচারী মহিউদ্দিন বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৯ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।দেশী মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ টাকা, অ্যাংকর ৪৫ টাকা, খেসারি ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ৮৫ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ থেকে১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
বাজার করতে আসা আরিফ জানান, সব কিছুর দাম বেশী আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।কারন জিনিসের দাম বাড়তেছে আমাদের মজুরিতো বাড়তেছে না৷এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো উচিত।