চট্টগ্রাম মহানগর ইসমাইল ইমন চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় দুস্থ শীতার্তদের পাশে চন্দনাইশের ইউএনওপ্রবাদ আছে”মাঘের শীতে বাঘও কাঁপে”মাঘ মাসের শীত শুরু হতে না হতেই হাঁড় কাঁপানো শীত। শুরুতে কোনোমতে সামাল দেওয়া গেলেও এই শীতকে আর মানাতে পারছেন না হতদরিদ্র দুঃস্থরা। চন্দনাইশের স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে এমন হতদরিদ্র মানুষের খোঁজ নিয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চন্দনাইশের ইউএনও সাদিয়া ইসলাম। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার শীতবস্ত্র, চাঁদর, টুপি নিয়ে উষ্ণতায় জড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের। এতে অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। কেননা একে শীতের রাত, অন্যদিকে ইউএনও নিজ হাতেই এসব শীতবস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) শীতবস্ত্র নিয়ে ইউএনও যান স্থানীয় একটি এতিমখানায়। সেখানে তিনি এতিম ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র তুলে দেন। একইসঙ্গে মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের আবাসিক রুম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে শীতের রাতে শিক্ষার্থীদের মেঝের বিছানা, মশারিসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কোরআন হাদীস শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম, সামাজিক মূলবোধের বিষয়ে শিক্ষা দিতে বলেন।
মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সড়কে ভবঘুরে, স্থানীয় অসহায় মানুষকেও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। আদর মাখানো তার হাতে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে তাদের খোঁজ-খবরও নেন তিনি।
কম্বল পাওয়া ভবঘুরে আব্দুল রহমান বলেন, গত কিছুদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। চাঁদর জড়িয়ে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। ইউএনও ম্যাডাম যাওয়ার পথে আমাকে দেখে গাড়ি থেকে নামেন। সংসারের কথা জানতে চেয়ে গাড়ির পেছন থেকে কম্বল এনে আমাকে দেন। শীতবস্ত্র বিতরণে কার্যক্রমে ইউএনওর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রিয়াদ হোসেন।
ইউএনও সাদিয়া ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে নিতান্ত্যই শীতে কষ্ট করছে এমন লোকদের শীতবস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছি। যারাই প্রকৃতভাবে এসবের হকদার তাদের দিতেই আমি নিজে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশিরা, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো এগিয়ে আসলে সমাজের এই সব সুবিধা বঞ্চিত ভবঘুরেরা শীতের মৌসুমে কষ্ট পাবে না।