রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি( শাকিল মন্ডল) রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কাচালং সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ সময় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, এডিশনাল এসপি রঞ্জন কুমার দাশ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ৬ বেঙ্গল বাঘাইহাট জোনের উপ-অধিনায়ক নুরু উল্লাহ জুয়েল (পিএসসি), ২১ বীর লংগদু জোনের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন মোঃ খালিদুর রহমান, ৩৭ বিজিবি রাজনগর জোনের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন মোঃ সাদনান, ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের প্রতিনিধি সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক সহ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীগণ তাদের নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক সশস্ত্র দলের হুমকি ও প্রতিকুল পরিবেশের কথা তুলে ধরেন। তারা সরকারের কাছে প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে সুষ্ঠ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জোর দাবি জানায়।
এছাড়া সারোয়াতলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পার্থী চশমা প্রতীক জন চাকমা বলেন, তাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেয়া সহ তার পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষে প্রতিটি সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যগণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে এবং নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন এবং সকলের সহযোগীতায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, নির্বাচনের দিন আমি ও জেলা প্রশাসক মাঠে থাকবো কোন ভাবেই ভোটের মাঠে কারো পেশী শক্তি বর্দাস করা হবে না, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুই করা হবে।
সেনাবাহিনীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বাঘাইহাট জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর নুরু উল্লাহ জুয়েল (পিএসসি) তিনি বলেন- নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর নিজস্ব কোন পলিসি নেই, সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করবে, তবে কোন প্রার্থী যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কে কোন দল করেন সেটা সেনাবাহিনী দেখবেনা শতভাগ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সেনাবাহিনীর অবস্থান থাকবে শতভাগ নিরপেক্ষ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, কোন প্রার্থী যদি মনে করেন জঙ্গল বাহিনীর প্রভাব খাটিয়ে বল প্রয়োগ করে নির্বাচন করবেন এবং নির্বাচনের মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন, তাহলে সেই প্রার্থীকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করা হবে। বিশৃঙ্খলার দায়িত্ব তাকে নিতে হবে।