ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহের ভালুকায় বাইরে প্লাস্টিক কারখানা’র সাইনবোর্ড আর ভিতরে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোড়কে সয়াবিন তৈলের বোতল বাজারজাত করার অভিযোগে এক কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার ৮মার্চ দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী উপজেলার আঙ্গারগাড়া গ্রামের ইন্তারঘাট এলাকায় এ অভিযান চালায়।
এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানা ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে কারখানাটি বিরত থাকবে মর্মে মুচলেকা প্রদান করে।
সরেজমিনে জানাযায়, চার দেয়ালে ইটের বেস্টনি দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে প্লাস্টিক কারখানার সাইনবোর্ড দিয়ে ভিতরে বি.এস.টি. আই অনুমোদন বিহীন ১লিটার থেকে শুরু করে ২লিটার পর্যন্ত সয়াবিন তৈলের বোতল মোড়ক করে নিয়মিত বাজারজাত করা হচ্ছে তবে পন্যের উপর বি.এস.টি আই এর ছিল ছিল। বোতলের গায়ে লেখা ছিল মোস্তফা গোল্ড ফার্টি ফাইড সয়াবিন অয়েল। এ সময় কারখানা ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ বোতল জাত দ্রব্যটি মোস্তফা গ্রুপ ও রুপচাঁদার পন্য বলে দাবী করেন যা বোতলের গায়ে ও বিভিন্ন টিনের কেন্টিনে লেখা ছিল।
এ সময় মডেল থানার উপপরিদর্শক মতিউর রহমান,উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বিল্লাল হোসেন জানান, আমার বাবা এ কারখানার আনুমানিক ৪০ শতক জমি মৃতুর পূর্বে গাজীপুর জেলার জেরিন ও তার স্বামী তপলের কাছে বিক্রি করেছিল। তারা স্থানীয় লোকদের আড়াল করেই এ কারখানা চালু করে বিগত ২ মাস যাবৎ তৈল বাজারজাত করে যাচ্ছে।
ডাকাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন বলেন, এ ধরনের তৈল কারখানার বিষয়টি আমার জানা নেই তবে শুনেছি আজ ভ্রাম্যমান আদালতে কারখানা কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মুচলেকা নেয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।